ভোটের দিন সকাল থেকে ভোটকেন্দ্র ‘দখল ও নিয়ন্ত্রণে’ নিতে ছাত্রলীগসহ দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য আবদুর রহমান। বুধবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান জানান তিনি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসের সমর্থনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠন যৌথভাবে এই সভার আয়োজন করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নিজামুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা ও এমপি আমির হোসেন আমু উপস্থিত থাকলেও তিনি কোন বক্তব্য দেননি। তবে প্রার্থী ফজলে নূর তাপস বক্তব্য দেন।
আবদুর রহমান বলেন, আগামী ১লা ফেব্রুয়ারি ভোট হবে নৌকা মার্কার বিজয়ের ভোট। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা খবর দিয়েছে যে নির্বাচনে ব্যারিস্টার তাপস শতকরা ৫৭ ভাগ ভোট পেয়ে প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে আছেন। বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাও একইভাবে রিপোর্ট দিয়েছে। তাপসের বিজয় সুনিশ্চিত বলেই জামায়াত-বিএনপির প্রার্থী এই নির্বাচনকে ভুণ্ডুল করা ও প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বিদেশিদের কাছে নালিশ করছে।
রগকাটা পার্টি, জামায়াত ও শিবিরের সন্ত্রাসী বাহিনীকে সারা দেশ থেকে ঢাকা শহরে জড়ো করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন ওই প্রার্থী।
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে, ভোটের পরাজয়কে নিশ্চিত জেনে নির্বাচন ভুণ্ডুলের ষড়যন্ত্র করা হলে, আমি সবাইকে বলি, ওদেরকে আগামীকাল থেকেই মাঠ থেকে উচ্ছেদ করার প্রস্তুতি আপনাদের নিতে হবে।
আবদুর রহমান আরও বলেন, ভোটের দিনে সাতসকালে আপনারা যার যার কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন। লাইনে দাঁড়াবেন এবং ভোটকেন্দ্র আপনাদের দখলে রাখবেন। আপনাদের নিয়ন্ত্রণে রাখবেন, যেন কোনো ফাঁকফোকর দিয়ে একটি সন্ত্রাসী, একটা রগকাটা পার্টি, একটা যুদ্ধাপরাধীরা ভোটকেন্দ্রে অবস্থান না নিতে পারে। সেই ব্যবস্থা আপনাদের করতে হবে। আপনারা রাজি আছেন কি না, দুই হাত তুলে আমির হোসেন আমুকে আপনারা দেখিয়ে দেন।
ভোটকেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ ও দখলের বিষয়ে আবদুর রহমানের বক্তব্য জানতে চাইলে আজ রাতে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, যুদ্ধাপরাধী ও সন্ত্রাসী বাহিনী যাতে ভোটকেন্দ্র দখলে না নিতে পারে, ভোটকেন্দ্রের দখল যেন অন্য কারও হাতে না থাকে, কথাটা এই রকম। নিয়ন্ত্রণ তো আর অস্ত্র দিয়ে নিয়ন্ত্রণ না, ভোটারদের দিয়ে নিয়ন্ত্রণ, তাদের উপস্থিতি দিয়ে নিয়ন্ত্রণ। আই মিন ইন দ্যাট ওয়ে (আমি ওইভাবে বলেছি)।
এ সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী বক্তব্য দেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটির ২১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিলাল দের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগ-সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের নেতা জেড এম পারভেজ সাজ্জাদ, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল শাখার নেতাকর্মীসহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
London Bangla A Force for the community…
