স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া রাজাকারদের তালিকা যাচাই-বাছাই না করেই প্রকাশ করে বে-আক্কেলের মত কাজ করেছেন বলে সরল স্বীকারোক্তি করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এই ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন বলেও জানান তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁর ১১টি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উল্লেখ্য, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীকে নানাভাবে সহায়তাকারী রাজাকার, আলবদর ও আলশামসের তালিকা গত ১৫ ডিসেম্বর প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ১০ সহস্রাধিক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে প্রকাশ করা প্রথম তালিকায় অনেক মুক্তিযোদ্ধার নামও ঢুকে পড়ে। এ নিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। পরে এই তালিকা স্থগিত করা হয়। মোজাম্মেল হক বলেন, ভুল করেছি। প্রত্যাহারও করে নিয়েছি। এবার আর ভুল হবে না। তাই বলে রাজাকারের তালিকা হবে না, তা নয়। রাজাকারের তালিকা হবেই হবে। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তালিকা নিয়ে আর রাজাকার-আলবদর ও আল শামসের তালিকা প্রকাশ করা হবে না। নিবিড় অনুসন্ধান চালিয়ে উপজেলাভিত্তিক রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করা হবে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী জানান, জানুয়ারিতে মাসে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। ইতিমধ্যে তালিকার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন সেই তালিকা আবার যাচাই করার কাজ চলছে। মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারিভাবে পরিচয়পত্র দেয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ২৬ মার্চের আগেই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের ছবিসহ পরিচয়পত্র দেয়া হবে। জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ-২ আসনের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার, নওগাঁ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার, নওগাঁর পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া প্রমুখ।