বাক স্বাধীনতা না থাকলে স্বাধীনতাই থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক।
শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটি আয়োজিত ‘হুমকির মুখে বাকস্বাধীনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় শাহদীন মালিক এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা রাজা-বাদশার যুগে চলে গেছি। গণতন্ত্র বলতে কিছু নেই। বাকস্বাধীনতা যত সংকুচিত হবে তত দেশের স্বাধীনতা বলতে কিছু থাকবে না। আমার জীবন হয়ে যাচ্ছে পশুর জীবন। স্বাধীন দেশে পশুর মতো বাঁচা যায় না। এখন যতগুলো আইন তৈরি হচ্ছে, প্রত্যেকটি আইনেই বাকস্বাধীনতা খর্ব হয় এমন শর্ত জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। আমেরিকার ১৭৯১ সালের সংবিধানে বলা হয়েছে, বাকস্বাধীনতা খর্ব হয় এমন কোনো আইন সংসদে পাস করা যাবে না। অথচ স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও আমরা সেই গণতন্ত্রে যেতে পারিনি। আমরা রাজা-বাদশাহদের যুগে ফিরে গেছি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলায় মৃত্যুবরণ করতে হবে এগুলো মানা যায় না। এমন দেশে আজ আমরা বসবাস করছি। বর্তমানে স্বাধীন দেশে পরাধীন হিসেবে বসবাস করছি। আমাদের বাকস্বাধীনতা না থাকলেও ক্ষমতাসীনদের বাকস্বাধীনতা রয়েছে। তারা যখন-তখন দেশের গণমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে যা ইচ্ছা তা বলে যাচ্ছেন। খালেদা জিয়া, ড. ইউনূস ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামালের বিরুদ্ধে তারা যা ইচ্ছা তা বলছেন। এখানে তাদের বাকস্বাধীনতা রয়েছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ‘চিন্তাকে প্রকাশ করতে দিতে হয়, পৃথিবী জুড়েই এর চর্চা চলছে। খাবার কম দিয়েও যদি মানুষকে কথা বলতে দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে মানুষ কথা বলাটাই বেছে নেবে।’