ব্রেকিং নিউজ
Home / অপরাধ জগৎ / ঘটনাস্থলে না থাকলেও পুরো ঘটনায় জড়িত অমিত সাহা

ঘটনাস্থলে না থাকলেও পুরো ঘটনায় জড়িত অমিত সাহা

শিবির কর্মী সন্দেহেই অত্যাচার করা হয় আবরারকে, সহযোগীদের নাম জানতে দীর্ঘায়িত হয় নির্যাতন। হত্যা মামলায় রিমান্ডে থাকা আসামীদের কাছ থেকে এমন তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৫ জনকে। সবশেষ রাজধানীর সবুজবাগ ও বুয়েট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অমিত সাহা মিজান নামের দুজনকে। রাজনোইতিক কিংবা সামজিক পরিচয় এ মামলায় বিবেচ্য হবে না বলেও দাবি গোয়েন্দা পুলিশের।

বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় সোমবার বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেলসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করে সবাইকে ৫ দিন করে রিমান্ডে নেয়া হয়।
চকবাজার থানায় আবরারের বাবার দয়ের করা মামলায় আসামি করা হয় ১৯ জনকে। তবে এর মধ্যে অমিত সাহা, মিজান ও রাফাতের নাম না থাকলেও তদন্তে তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপির মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম বলেন, সমস্ত আলামত বিশ্লেষণ এবং অন্যান্য সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আমাদের মনে হয়েছে অমিত সাহা ঘটনাস্থলে হয়তবা ছিলো না কিন্তু এ ঘটনায় তার দায়-দায়িত্ব রয়েছে। প্রতোক্ষ্য না হলেও পরোক্ষ দায়-দায়িত্ব রয়েছে। সে কারণেই প্রাথমিক তত্ত্বে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শিবির সন্দেহে আবরারকে নির্যাতন করা হয় বলেও প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে ডিবি। তবে তদন্তের স্বার্থে কিছু বিষয় গোপন রাখছেন গোয়েন্দারা।
মনিরুল ইসলাম বলেন, এটিও একটি কারণ বলে আমরা জানতে পেরেছি। কিন্তু এটিই একমাত্র কারণ কিনা এটি এ পর্যায়ে বলাটা আসলে সমুচিত না। কে কোন দলে, কার কি পদ পদবি এগুলো দেখা হচ্ছে না। কারও সামাজিক অবস্থানও তদন্ত ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার না করে সেজন্য আমাদের চৌকস টিম কাজ করছে।
নৃশংস এই হত্যার বিষয়ে কারো কাছে কোনো তথ্য থাকলে পরিচয় গোপন রেখে তদন্তকারীদের জানাতে অনুরোধ করেন ডিএমপির মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমাদের ওপর আস্থা রাখুন।