ব্রেকিং নিউজ
Home / বাংলাদেশ / বিদেশি পর্যবেক্ষক লাগবে না, জনগণই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে

বিদেশি পর্যবেক্ষক লাগবে না, জনগণই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে

imageআগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। এ নির্বাচন কেউ ঠেকাতে পারবে না। এতে বিদেশি কোন পর্যবেক্ষক দলও লাগবে না। তারা না এলেও সমস্যা নেই। দেশের জনগণই এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে। বিএনপি-জামায়াতের অব্যাহত নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ১৪ দল আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে আজ মঙ্গলবার জোটের নেতারা এসব কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন আমির হোসেন আমু, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, মোহাম্মদ নাসিম, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, দিলীপ বড়ুয়া, নুরুর রহমান সেলিম, ড. ওয়াজেদুল ইসলাম, ডা. অসিত বরণ রায়, মাহবুব-উল আলম হানিফ, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াসহ ১৪ দলের কেন্দ্রীয় ও নগর নেতারা।

আমির হোসেন আমু বলেন, খালেদা জিয়া ধরা পড়ে গেছেন। তিনি যে যুদ্ধাপরাধীদের দোসর, কাদের মোল্লার ফাঁসিতে পাকিস্তানের নিন্দা প্রস্তাবের পর তার নিশ্চুপ থাকায় তা প্রমাণিত হয়েছে। তিনি খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করবেন না। তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাদের সহযোগী হিসেবে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হতে পারে।

আওয়ামী লীগের উপদষ্টো পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ভারতের নির্বাচনে কোন দেশের পর্যবেক্ষক লাগে না। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের নির্বাচনেও পর্যবেক্ষক (অবজারভার) যায় না। আমাদের দেশেও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কারো পর্যবেক্ষণের দরকার নেই। নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে।

সুরঞ্জিত বলেন, বাঘে ধরলে বাঘে ছাড়ে, শেখ হাসিনা ধরলে ছাড়ে না। এসব বাইরের লোকদের দিয়ে চাপ দিয়ে কোন লাভ হবে না। মঞ্চে উপস্থিত রাশেদ খান মেননসহ তোফায়েল আহমেদের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেখেন নাই তারা মন্ত্রিত্ব নিতে চায় নাই। কিন্তু তাদের নিতে হয়েছে। এটার নাম শেখ হাসিনা।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, কমনওয়েলথ পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের নির্বাচনে পর্যবেক্ষকের প্রয়োজন নাই। জনগণই যথেষ্ট। জনগণই পর্যবেক্ষণ করবে। আপনাদের দরকার নেই। বিদেশি তৎপরতার সমালোচনা করে মেনন বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আপনাদের কিসের এত তৎপরতা। জামায়াতের সঙ্গে তাদের (বিদেশিদের) কিসের সংলাপ।

নির্বাচনকালীন সরকারের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, খালেদা জিয়া নির্বাচনের ট্রেন মিস করেছে। তাই তিনি জঙ্গির ট্রেনে উঠেছেন। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাস, গাড়ি পোড়ানো ও নাশকতা বন্ধ করুন। সমঝোতা চাইলে যুদ্ধাপরাধী ও জামায়াতিদের সঙ্গে সম্পর্ক ছাড়ুন, সন্ত্রাস বর্জন করুন। সমঝোতা চাইলে সংবিধান মেনে সংলাপে বসুন। না হয় জঙ্গিবাদীদের ও আপনার পরিণতি একই হবে। এ লড়াই এসপার-ওসপারের লড়াই। আপনি আপনার পথ ঠিক করুন। আপনি বাংলাদেশের ট্রেন না ধরলে আপনাকে ট্রেনে আফগানিস্তান বা পাকিস্তান পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

প্রতিবাদ সমাবেশে জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন না করলে ৫ জানুয়ারির পর বিএনপিকে বাংলার মাটি থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তৃতীয়বারের মতো জনগণের সরকার গঠন করা হবে।

সমাবেশ শেষে একটি প্রতিবাদ মিছিল বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ থেকে নূর হোসেন চত্বর হয়ে মুক্তাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়। এসময় প্রচুর যানজটের সৃষ্টি হয়।