পুনরাবৃত্তি হওয়ার সুযোগ নেই। কারণ তার সরকার কঠোরভাবে সব ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই ব্যবস্থা নিচ্ছি, যাতে ১/১১-এর মতো কোনো ঘটনা দেশে আর ঘটতে না পারে। আমি আপনাদের বলতে পারি- ১/১১-এর মতো কোনো পরিস্থিতির প্রয়োজন নেই।‘যদি কোনো অন্যায় কিছু হয় কে করেছে সেটা দেখা হবে না- এমনকি আমার দলের লোক হলেও আমি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। শুদ্ধি অভিযান নিজ বাড়ি থেকেই শুরু করা উচিত…।
রোববার রাতে (স্থানীয় সময়) নিউনিয়র্ক ত্যাগের আগে সেখানে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা স্পষ্টভাবে বলেন, বাংলাদেশে আর ১/১১-এর মতো পর্ব হবে না এবং এ জন্য যা যা প্রয়োজন তা সবই তিনি করবেন বলে জানান।
তিনি বলেন, ‘কিছু মানুষ আছে যারা ধনসম্পদ দেখাতে (শোয়িং অফ) অভ্যস্ত, যা তারা হঠাৎ করে পেয়েছেন। ‘ সমাজের এই শ্রেণির লোকদের একটা ধাক্কা দেয়া প্রয়োজন।’শেখ হাসিনা জানান, তিনি জনগণের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করেন এবং জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছেন এবং তিনি সর্বদা তাদের কল্যাণ নিয়েই ভাবেন। তিনি বলেন, দীর্ঘকাল ক্ষমতায় থাকার কারণে তার দল বা সমাজে কোনো খারাপ প্রভাব না ফেলতে তাদের সতর্ক থাকতে হবে। ‘আমি এটিকেও সামাল দিতে চাই। এ জন্যই আমি এই অভিযান পরিচালনা করছি (দুর্নীতির বিরুদ্ধে) ।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অভিযানের কারণে একাংশ অসন্তুষ্ট হতে পারে, তবে এটা তার কাছে তেমন গুরুত্ববহ করে না। ‘ তাদের জন্য আমার কোনো মায়া নেই। কারণ আমি চাই দেশের প্রতিটি মানুষ সুখী হোক এবং আরও উন্নত জীবনযাপন করুক।’`(রাজনৈতিক) সুবিধা গ্রহণ করে কিছু লোক সমাজকে কলুষিত করবে এমনটি হতে দেয়া যায় না। এটি আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং আমি পদক্ষেপ নিচ্ছি,’ যোগ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেলাধুলার সামগ্রী আমদানির আওতায় জুয়া খেলার যন্ত্রপাতি দেশে প্রবেশ করতে পারে তা তাদের কাছে অকল্পনীয় ছিল।
এর আগে তিনি বলেন, ‘সরকার দেশের যেকোনো সম্ভাব্য নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি এড়াতে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে একটি অভিযান পরিচালনা করেছিল এবং সে অভিযানে সাফল্য অর্জন করেছে। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান এখনও চলছে, আমরা প্রায় সফল হয়েছি… এখন আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছি।’
উৎসঃ jagonews24