আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্র্যাবুনালে যতগুলো ফাঁসির রায় হবে সবগুলোর একটার পর একটা কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব.) শওকত আলী।
মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পাকিস্তান সংসদে কাদের মোল্লার ফাঁসির নিন্দা প্রস্তাবের প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। একাত্তর ফাউন্ডেশন ও মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘পাকিস্তান সংসদ কাদের মোল্লার ব্যাপারে যে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করেছে আমরা সে নিন্দা প্রস্তাবের তীব্র নিন্দা জানাই। তাদের এ প্রস্তাব প্রমাণ করেছে কাদের মোল্লা তাদের সন্তান। সে ছিল দালাল ও গুপ্তচর। তাদের নিন্দা প্রস্তাবে এটা পরিষ্কার যে, বাংলাদেশ সরকার রায়টি কার্যকর করে সঠিক পথে আছে। কাদের মোল্লার মতো এরকম ফাঁসি দেশের মাটিতে আরো হবে।’ পাকিস্তান সংসদের প্রস্তাবকে ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ বলেও মন্তব্য করেন করেন তিনি।
পাকিস্তান ও বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলার আপনাদের কোনো অধিকার নেই। এদেশের সরকারই তার দেশ কীভাবে চালাবে তার সিদ্ধান্ত নিবে।’
সমাবেশে অন্য বক্তারা যুদ্ধাপরাধ ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের দায়ে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। এসময় পাকিস্তানি পণ্য বর্জন, বাংলাদেশের কাছে তাদেরকে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা ও তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন এবং জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধসহ বেশ কিছু দাবি তুলে ধরা হয়।
একাত্তর ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডা. খালেদ শওকত আলীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য দেন- মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. জেবুন্নাহার, ফাউন্ডেশনের যুগ্ম মহাসচিব হাসানুজ্জামান প্রমুখ।