চট্টগ্রামে ক্রমশ অসহিঞ্চু হয়ে উঠছে নানা গ্রুপ-উপগ্রুপে বিভক্ত ছাত্রলীগ। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টার পাশাপাশি সাংগঠনিক কোন্দলে জর্জরিত সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। প্রতিদিনই ঘটছে হতাহতের ঘটনা। গত সপ্তাহে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। ছাত্রলীগের এ ধরণের সংঘাতে চরম উদ্বেগের মধ্যে পড়েছে পুলিশ প্রশাসন। এ অবস্থায় ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে দলের শীর্ষ পর্যায়ে অভিযোগ দিতে যাচ্ছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ।
চট্টগ্রাম উত্তর-দক্ষিণ এবং মহানগর তিন সাংগঠনিক জেলার অধীন ছাত্রলীগের এমন কোনো ইউনিট নেই, যেখানে বিরোধ সৃষ্টি হয়নি। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে লালখান বাজার প্রতিদিনই রণক্ষেত্রে পরিণত হচ্ছে।
আর কমিটি গঠণকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া প্রতিদিনের ঘটনা।
গত সপ্তাহে দক্ষিণ চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের বিরোধে মৃত্যু হয়েছে মামুন নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীর। দ্বন্দ্বের কারণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি ঘোষণা করা যাচ্ছে না।
আর এসব বিরোধের জন্য দলে অনুপ্রবেশকারীদেরকেই দায়ী করছেন সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।
নগর ছাত্রলীগ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর বলেন, ‘দীর্ঘদিন সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে কিছু অনুপ্রবেশ ঘটেছে। সরকার না থাকলে এরা দেশের মাটিত থাকে না। বিদেশ থাকে চলে যায়। সরকার ক্ষতায় আসলে এরা ফিরে এসে প্রভাব খাটাতে চাই আর অপরাধের দায় সংগঠনের ওপর চাপিয়ে দেয়।’
দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এস এম বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘অনুপ্রবেশকারীরা ছাত্রলীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই ষড়যন্ত্র করে।’
আর ছাত্রলীগের এসব লাগাতার সংঘাতে তটস্ত পুলিশ প্রশাসন জানালের চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।
এ অবস্থায় সংঘাতে জড়িত ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কাছে অভিযোগ জানাবেন বলে জানালেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন।
বর্তমানে নগর ছাত্রলীগে ৪টি, উত্তর জেলা ছাত্রলীগ দুটি এবং দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ ৩টি ধারায় বিভক্ত।