বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, অনেক হয়েছে, এবার খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন, উনাকে মুক্তি না দিলে আপনারাও মুক্তি পাবেন না।আমি সিরিয়াসলি বলছি, উনিই শেষ ভরসা, যাকে মুক্ত করলে আপনারা মুক্ত থাকতে পারবেন।
রাজধানীর সুপ্রিমকোর্টের শহীদ এ কে এম সিদ্দিক হলে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি) আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও পেশাজীবীদের নামে মিথ্যা-ষড়যন্ত্রমূলক, গায়েবি মামলায় হয়রানির প্রতিবাদ’ শীর্ষক সমাবেশটির অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপিকে ভয় কেনো? জনগণকে এত ভয় কেন? কেন আপনারা সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে চান না? কেন নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে চান না? কারণ আপনি জেনে গেছেন, আপনার জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। আপনি জেনে গেছেন সবাই এখন দেখছে আওয়ামী লীগ এখন রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। তাদের আর কোনো রাজনীতি নেই। ভাবতেই অবাক লাগে আওয়ামী লীগের মতো একটি রাজনৈতিক দল দীর্ঘকাল রাজনৈতিক সংগ্রাম করা একটি দল তারা আজ সম্পূর্ণভাবে জনগণ থেকে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে শুধু রাষ্ট্রযন্ত্রের উপর নির্ভর করে দেশ চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আবার গর্ব করে বলে বিশ্বনেতারা আমাকে (সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেছেন) চাচ্ছে। যে দেশের জনগণ চায় না, বিশ্ব নেতারা চাইলে কি বেশিদিন টিকে থাকা যায়। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাদ দিয়ে তাদের এড়িয়ে কোন কিছু করা সম্ভব নয়। অবশ্যই জনগণ যা চায় সেভাবে কাজ করতে হবে। অনেক হয়েছে এনাফ ইজ এনাফ।এখন দয়া করে মাথার মধ্যে একটু শুভ বুদ্ধি নিয়ে আসুন, একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন এবং জনগণকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দিন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন, উনাকে মুক্তি না দিলে আপনাদের ও মুক্তি নাই, আপনারাও মুক্তি পাবেন না। উনিই শেষ ভরসা যাকে মুক্ত করলে আপনার মুক্ত থাকতে পারবেন। এ কথাটা আমি সিরিয়াসলি বলছি, উনিই শেষ ভরসা। উনিই গণতন্ত্রের একমাত্র প্রতিনিধি। তিনি পারবেন একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ-পরিস্থিতি তৈরি করতে। তাকে বের করে নিয়ে আসুন। অন্যথায় এই দেশে যে সংকট তৈরি হবে সে সংকট আপনারা মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হবেন।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. জয়নুল আবদিন, শওকত মাহমুদ, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. সানাউল্লাহ মিয়া, বিএনপির সহ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ।