জাতীয় ঐক্যে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী জামায়াত নিয়ে তুমুল আপত্তি তুললেও যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী এবার আরেক মুক্তিযুদ্ধবিরোধী দল মুসলিম লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জানালেন, তার বাবাও মুসলিম লীগের সদস্য ছিলেন।
এসময় বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘অনেকেরই প্রাথমিক শিক্ষা ছিল মুসলিম লীগ। আপনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা বলেন, উনি মুসলিম লীগ ছিলেন। তারপর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মুসলিম লীগ ছিলেন, শেরে বাংলা ফজলুল হক মুসলিম লীগ ছিলেন। আমার বাবা মুসলিম লীগ ছিলেন। তার মানে, যারা সংগঠন করেছেন, তারা কোনো না কোনো পর্যায়ে মুসলিম লীগ ছিলেন।’
‘এরপর রাজনীতি পট পরিবর্তন হল, সেই প্রক্রিয়ায় মুসলিম লীগ পিছিয়ে পড়ল। কী অপরাধ, কী ভুল-ত্রুটি, সেটা আপনারা জানেন, আপনাদের ব্যাপার। জামানা বদলে গেছে, স্বীকার করেন না কেন?’
শনিবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মুসলিম লীগের নবম জাতীয় কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বি চৌধুরী বলেন, ‘এই যে ছল চাতুরির নির্বাচন, এই যে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং- এরকম ভবিষ্যতে হলে বাংলাদেশের সর্বনাশ হয়ে যাবে, গণতন্ত্র চিরকালের জন্য নির্বাসিত হয়ে যাবে। সুতরাং এবারের সংগ্রাম মানুষের অধিকারের সংগ্রাম।’
তিনি বলেন, ‘আমি বলব, যারাই গণতন্ত্রের সপক্ষের শক্তি, তাদেরকে জেগে উঠতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে এবং বলতে হবে যে, এই ধরনের কৌশলের নির্বাচন আমরা মানব না। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা, এটাই হবে এক নম্বর সংগ্রাম। এটাই হল বাংলাদেশের ইতিহাসের পক্ষে শ্রদ্ধা জানানোর একমাত্র উপায়।’
এসময় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বি চৌধুরী বলেন, ‘তাদের প্রধানতম ব্যক্তি বললেন, এটা নিয়ম রক্ষার নির্বাচন, অচিরেই আমরা নির্বাচনের ব্যবস্থা করব, সমস্ত দল অংশগ্রহণ করবে। কথা দিয়ে কথা রাখলো না এরা। ওয়াদার বরখেলাপ করল। পবিত্র কুরআনে আছে ওয়াদার বরখেলাপকারী সত্যিকার মুসলমান নয়।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন মুসলিম লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বদরুদ্দোজা সুজা। আরও বক্তব্য রাখেন খেলাফত আন্দোলনের মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজী হুজুর, নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী, মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের সভাপতি ববি হাজ্জাজ, কেন্দ্রীয় নেতা আতিকুল ইসলাম, ওয়াজিব আলী মোড়ল, আবদুর রশিদ খান চৌধুরী, সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, আবদুল আজিজ হাওলাদার প্রমুখ।