সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা ইস্যুতে আবারো চরমভাবে ধরা খেলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ষোড়শ সংশোধনী রায় বাতিলের পর থেকে বিচারপতি এসকে সিনহাকে নিয়ে যা ঘটেছে সব কিছুরই নাটেরগুরু ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বিচারপতি সিনহাকে গৃহবন্দি করে আনিসুল হকই প্রতিনিয়ত গণমাধ্যমের কাছে দাবি করতেন যে প্রধান বিচারপতি অসুস্থ। প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করে তিনি দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করতেন। এমনকি প্রধান বিচারপতির স্বাক্ষর জাল করে পর্যন্ত মিথ্যাচার করেছেন আনিসুল হক।
আনিসুল হকের এসব মিথ্যাচার ও প্রতারণা নিয়ে যখন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠলো, তখন তিনি সংবাদ সম্মেলন করে বললেন-আমি জীবনে কখনো মিথ্যা কথা বলিনি।
অবশেষে ‘অ্যা ব্রোকেন ড্রিম’ বইয়ের মাধ্যমে বিচারপতি সিনহা আনিসুল হকের মুখোশ উম্মোচন করে দিয়েছেন। আর সিনহা ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে চরমভাবে ধরা খেলেন আনিসুল হক। এবার ধরাটা খেলেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের কাছে। বলা যায়-এ ইস্যুতে দুদক চেয়ারম্যান আনিসুল হককে পাত্তাই দিলেন না।
আনিসুল হক গণমাধ্যমকে বলেছেন, বিচারপতি সিনহার দুর্নীতির বিষয়ে দুদক তদন্ত করছে। এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার সাংবাদিকরা দুদক চেয়ারম্যানের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান। জবাবে ইকবাল মাহমুদ বলেন, মাননীয় মন্ত্রী ওনার যা ইচ্ছা বলতেই পারেন। মাননীয় মন্ত্রীর কথায় তো মামলা হবে না, অনুসন্ধানও হবে না। সরকার নিজেরাই বলে স্বাধীন কমিশন। সো মাননীয় মন্ত্রী যা বলেছেন, ওনারটা উনাকেই জিজ্ঞেস করেন, আমাকে না। তিনি আরও বলেন, মন্ত্রীর কথায় কোনো প্রভাব দুদকে পড়বে না। এটা আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি। যথাযথ এভিডেন্স ছাড়া কারো বিরুদ্ধে অনুসন্ধান বা তদন্ত হবে না।
দুদক চেয়ারম্যানের এ বক্তব্যের পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মিথ্যাচার ও প্রতারণার বিষয়টি আবারো সামনে চলে এসেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, দুদক একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হলেও সরকারের নির্দেশনায়ই তারা কাজ করে। বিচারপতি সিনহা ইস্যুতে দুদক চেয়ারম্যান আইনমন্ত্রীর বিষয়ে যে মন্তব্য করেছেন এটা অপমানজনক। বলা যায় তিনি আইনমন্ত্রীকে পাত্তাই দিলেন না।
দুদক চেয়ার্যানের বক্তব্যে প্রমাণ হয় আইনমন্ত্রী বিচারপতি সিনহার দুর্নীতি তদন্ত নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছে সেটা বিন্দুমাত্র সত্য নয়। তিনি আবারো মিথ্যাচার করেছেন।