সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেলে পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলি পার্কে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে তারা এই দাবি জানান।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আইনের কয়েকটি ধারা গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিরোধী।এ আইনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার প্রশ্নে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।’তথ্য অধিকার আইন’ ও ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস’—আইন দু’টি বিদ্যমান রাখায় এটি পরস্পর বিরোধী অবস্থানের সৃষ্টি করেছে।বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতারওতল্লাশিরক্ষমতাপুলিশকে দেওয়ার মধ্য দিয়ে সাংবাদিকতাকে বাধাগ্রস্ত করার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে।
সমাবেশে বক্তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৮ ধারা পুনর্বিবেচনা করে সংশোধনের দাবি জানান।
সমবেশে সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক ও লেখক শামীম চৌধুরী।এতে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ড.রেনু লুৎফা, বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কে এম আবু তাহের চৌধুরী, নিউহ্যাম কাউন্সিলের ডেপুটি স্পিকার ব্যারিস্টার নাজির আহমেদ, কলামিস্ট বিপ্লব পোদ্দার, ব্যারিস্টার এ কে এম হাসনাত, ব্রিট বাংলার নির্বাহী সম্পাদকআহাদ চৌধুরী বাবু,
বাংলা ট্রিউবিউন যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি মুনজের আহমেদ চৌধুরী,বাংলাভাষী সম্পাদক অলিউর রহমানখান, ওয়ান বাংলার সম্পাদক কয়েস আলী, লন্ডন বিডিনিউজের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক রোমান বখত চৌধুরী, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের আইটি সম্পাদক সালেহ আহমদ, কবি শিহাবুজ্জামান কামাল, চ্যানেল এস-এর রেজাউল করিম মৃধা, বাহার উদ্দীন, নুর বখশ, তরিকত চৌধুরী,প্রমুখ।উল্লেখ্য এ আইন টি নিয়ে সম্পাদক পরিষদ তাদের উদ্বেগ এর কথা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ৷
প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিক সমাবেশে বলেছেন তিনি বলেন,’ সাম্প্রতিক সংসদে পাশ হওয়া ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট কেবল সামাজিক নিরাপত্তা বিধানে কার্যকর হবে, এ বিষয়ে দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর কোন হস্তক্ষেপ করা হবেনা।
‘সম্পাদক পরিষদের বক্তব্য হলো,সম্পাদক পরিষদ মনে করে, ”ডিজিটাল নিরাপত্তাআইনের৩২ ধারায় ডিজিটাল গুপ্তচরবৃত্তি প্রসঙ্গে অপরাধের ধরন ও শাস্তির যে বিধান রাখা হয়েছে, তা গণতন্ত্রের মৌলিক চেতনা এবং বাকস্বাধীনতায় আঘাত করবে৷
একই সঙ্গে তা স্বাধীন সাংবাদিকতাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলার মতো পরিবেশ সৃষ্টি করবে৷
এ আইনে কেউ কোনো সরকারিসংস্থার গোপনীয় তথ্য কম্পিউটার, ডিজিটাল যন্তর ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ধারণ করলে তা কম্পিউটার বা ডিজিটাল গুপ্তচরবৃত্তি বলে সাব্যস্ত করে কঠোরশাস্তির বিধান রাখাহয়েছে৷
(১ উপ-ধারা): ”কোনো ব্যক্তি যদি ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানিঘটে, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত কে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদি কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে প্রদান করা হয়, তাহা হইলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ৷”
(২): ‘‘কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১)-এর অধীন অপরাধ করিলে তিনি অনধিক চৌদ্দ বছর এবং ন্যূনতম সাত বৎসর কারাদণ্ডে এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷”
Credit: BritBangla24
London Bangla A Force for the community…
