পদত্যাগী প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে কারও কথায় ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। বলেছেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া যাবে।
বৃহস্পতিবার বিকালে দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ইকবাল মাহমুদ এসব কথা বলেন।
সিনহার বিষয়ে আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘মন্ত্রী মহোদয়ের কথায় মামলা হবে না। তদন্তও হবে না। উনি যা বলেছেন ওটা ওনার বিষয়। দালিলিক প্রমাণ ছাড়া দুদক কারো বিরুদ্ধে তদন্ত বা অনুসন্ধান করে না।’
গত ১৩ অক্টোবর সিনহা এক মাসের ছুটি নিয়ে দেশের বাইরে যান। পরদিন সুপ্রিম কোর্ট থেকে বিবৃতিতে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, বিদেশে অর্থ পাচার, আর্থিক অনিয়ম ও নৈতিক স্খলনস ১১টি গুরুতর অভিযোগের কথা জানানো হয়। বলা হয়, এসব অভিযোগের কারণে আপিল বিভাগের অন্য বিচারকরা আর প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বসে মামলা নিষ্পত্তিতে রাজি নন।
এরপর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। আর দুদক এই কাজ করবে।
এক মাস পর সিনহার দেশে ফেরার কথা ছিল। তবে সিঙ্গাপুর দূতাবাসের মাধ্যমে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন।
গত ৬ মে ‘গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির’ ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেনের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে দুই ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শাহজাহান ও নিরঞ্জন সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। পরে জানা যায় এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হচ্ছেন সিনহা। তবে সিনহার বিষয়ে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটির কোনো সিদ্ধান্ত এখনও আসেনি।
এর মধ্যে সিনহার আত্মজীবনীমূলক বই ‘অ্যা ব্রোকেন ড্রিম’ প্রকাশের পর সিনহাকে আক্রমণ করে আবার কথা বলছেন সরকারি দলের নেতারা। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তাকে দুর্নীতিবাজ বলেছেন একাধিক আলোচনায়।
এর মধ্যে দুই ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবানের বিষয়ে এক প্রশ্নে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘বেসিক ব্যাংকের দুই ব্যক্তিকে চার কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার বিষয় নিয়ে অনুসন্ধার দুদকের চলছে।’
সিনহা এই ঋণ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত কি না-জানতে চাইলে জবাব আসে, ‘এটা অনেক বড় বিষয়। এ নিয়ে আমাদের বিব্রত না করাই ভালো।’
এই টাকা এসকে সিনহার অ্যাকাউন্টে গিয়েছে কিনা জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রমাণ ছাড়া আমরা কোনও মামলা করব না। দালিলিক প্রমাণ পেলে আমারা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
ঢাকাটাইমস