জেনারেল আজিজ আহমেদ নতুন সেনা প্রধান হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন। কেউ অবাক হয় নাই। এটা জানাই ছিল।
তিনি সাবেক বিজিবির মহাপরিচালক। তিনি ১৪ সালের ভোটবিহীন নির্বাচনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখেন।
তিনি বন্ধু রাষ্ট্রের বেশ আস্থাভাজন। আর সব শেষ আসল পরিচয় হল, তিনি রসিক রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রাপ্ত সিরিয়াল কিলার জোসেফের বড় ভাই। কাজেই যোগ্যতার কোন কমতি নাই। লীগের আচরণের সাথে যায় এমন একজনই সেনা প্রধান হলেন। নো টেনশন।
২৫ জুন বিকেল থেকে জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে তাঁকে সেনাপ্রধান নিয়োগ দেওয়া হবে বলে খবরে জানানো হয়েছে।
এবার আরও ব্যাপক উন্নয়ণ কাজে সেনাদের দেখা যাবে। গোটা সমাজের জোসেফায়ন হচ্ছে এই সময়ে, জোসেফের বড় ভাই জাতীরও বড় ভাই.
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নতুন প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজিজ আহমেদ। আগামী ২৬ শে জুন তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। তাকে তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
বর্তমান সেনা প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক-এর মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৪ শে জুন। ২০১৫ সালের ১১ জুন লেফটেন্যান্ট জেনারেল শফিউল হককে তিন বছরের জন্য সেনাপ্রধান নিয়োগ করে সরকার। তখন তিনি জেনারেল ইকবাল করিম ভূইয়ার স্থলাভিষিক্ত হন।
জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হকের মেয়াদ না বাড়ায় লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজিজ আহমেদকে সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
গত বছর ৩১ জুলাই সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধান পদের মেয়াদ সর্বোচ্চ চার বছর নির্ধারণ করে এ সংক্রান্ত আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় সরকার।চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি তা সংসদে পাস হয়।
আজিজ আহমেদ ২০১২ সালের ৫ ডিসেম্বর বিজিবির ডিজি হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে তিনি আবারও সেনাবাহিনীতে ফেরত যান।
জেনারেল আজিজ ৮ম বিএমএ দীর্ঘদেয়াদি কোর্স শেষে ১৯৮৩ সালের ১০ জুন সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কোরে কমিশনপ্রাপ্ত হন। তিনি পাবর্ত্য চট্টগ্রামে জিএসও-৩ (অপারেশন), পদাতিক ব্রিগেডের ব্রিগেড মেজর, সেনাসদর প্রশিক্ষণ পরিদফতরের গ্রেড-২ এবং সেনাসদর, বেতন ও ভাতা পরিদফতরের গ্রেড-১ স্টাফ অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি একটি আর্টিলারি ইউনিট, একটি বিজিবি ব্যাটালিয়ন, বিজিবির একটি সেক্টর, স্বতন্ত্র এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারি ব্রিগেডসহ মোট দুইটি আর্টিলারি ব্রিগেড এবং একটি পদাতিক ডিভিশন দক্ষতার সঙ্গে কমান্ড করেন। তিনি দীর্ঘদিন স্কুল অব আর্টিলারি এবং স্কুল অব মিলিটারি ইনেটলিজেন্সের প্রশিক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।