ক্লাসিক্যাল মিউজিকের মূর্ছনা দিয়েই সবার হৃদয় জয় করলো রাশিয়া। প্রায় ৫০০ নৃত্যশিল্পী, জিমন্যাস্ট ও ট্রাম্পোলিনিস্টের অনন্য প্রদর্শনীতে মুগ্ধ হলো গোটা বিশ্ব। জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠলো রাশিয়া বিশ্বকাপ-২০১৮’র। সারা বিশ্বের সবগুলো পথ এসে মিশে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে। চার বছরের অধীর অপেক্ষা, রেড স্কয়ারে চলতে থাকা ঘড়ির কাঁধা ধীরে ধীরে এসে মিশে যাচ্ছে শূণ্যের ঘরে। তার আগে লুঝনিকি স্টেডিয়ামে হয়ে গেলো বিশ্বকাপের বর্ণিল উদ্বোধন।
১৯৮০ সালে অলিম্পিকের পর এটাই রাশিয়ায় সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞ। তাই ব্যতিক্রমী উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপহার দিলেন ভ্লাদিমির পুতিন। প্রথমেই নজর কেড়ে নেয় লুঝনিকির বর্ণিল সাজ। ব্যাপ্তি ছিল মাত্র ৩০ মিনিট। তবে তাতে আকর্ষণের কমতি ছিল না।
স্টেডিয়ামে উপস্থিত ৮০ হাজার ও টিভি সেটের সামনে বসে থাকা কোটি দর্শককে শুরুতে গান দিয়ে মাতিয়ে তুলেন ব্রিটিশ পপগায়ক রোবি উইলিয়ামস। তার ‘লেট মি এন্টারটেন ইউ’ গানের সাথে সাথে মাঠে প্রবেশ করেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কিংবদন্তী রোনালদো নাজারিও ডি লিমা। সাবেক ফুটবলারদের মধ্যে শুধু ‘দ্য ফেনোমেননই’ ট্রফি হাতে মঞ্চ আলোকিত করার সুযোগ পান।
স্টেডিয়ামে রুশদের পারফরম্যান্সও নজরকাড়া ছিল। মঞ্চ মাতালেন রাশিয়ার তরুণ-তরুণীদের মধ্যে তুমুল জনপ্রিয় আইদা গারিফুল্লিনা। অপেরা সংগীতের মূর্ছনায় দর্শক মাত করেন তিনি। মনোমুগ্ধকর পারফরম করেন আরেক অপেরা শিল্পী প্লাসিতো ডমিনগো।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বক্তব্য রাখেন। তাতে থাকল শান্তির বার্তা। আগত ফুটবলার ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা এবং আতিথেয়তায় কোনো কমতি রাখেননি বলে নিশ্চিত করলেন তিনি। তাতে সমর্থন জোগালেন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। এরপর মাঠে প্রবেশ করে রাশিয়া ও সৌদি আরব দল। আর্জেন্টাইন রেফারি নেস্তর পিতানার বাশির মধ্য দিয়ে মাঠে গড়ায় দু’দলের উদ্বোধনী খেলা।