৩১ মার্চ, ২০১৬: বান্ধবীকে নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এক বন্ধুকে মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জুনায়েদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট খুরশিদ আলম রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে ওই রিমান্ডের আদেশ দেন। এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।
গত ২০ মার্চ এই আসামি সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক কে এম শামসুল আলম তা নাকচ করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ১৩ মার্চ ধানমণ্ডি লেকের পাড়ে একটি মারধরের ঘটনা ঘটে যা ভিডিও করা হয় এবং তা ফেসবুকে আপলোড করা হয়। ১০ মিনিটের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, এক কিশোরীকে কেন্দ্র করে নুরুল্লাহ নামের এক যুবককে মারধর করছে জুনায়েদ। নুররুল্লাহ তার বান্ধবীকে নিয়ে কটূক্তি করেছে- এই অভিযোগে জুনায়েদ তাকে মারধর করে। কিন্তু বারবার অভিযোগ অস্বীকার করেছে নুরুল্লাহ। তারপরও মারছিল জুনায়েদ। অব্যাহত চড়-থাপ্পড় ও লাথিতে নুরুল্লাহ বসে পড়ে। এরপর ফিল্মি কায়দায় তাকে তুলে দাঁড় করিয়ে আবারও মারতে থাকে জুনায়েদ। ‘তুই গুটিবাজ’- এই কথা বলতে বলতে জুনায়েদ লাথি মারতে থাকে নুরুল্লাহকে। সে আরো বলে, ‘তুই ওকে খারাপ বলছিস।’ উত্তরে নুরুল্লাহ বলে, ‘আমি গুটিবাজি করলে এখানে একা আসতাম না।’ ফুটেজে দেখা যায়, নুরুল্লাহ মারের হাত থেকে বাঁচতে কাকুতি মিনতি করছে। কিন্তু কিছুতেই থামছে না জুনায়েদ। বরং দম্ভভরে জুনায়েদ বলে, ‘আমি জুনায়েদ, তুই আমাকে চিনিস না।’ নুরুল্লাহর নাক-মুখ দেখিয়ে জুনায়েদ বলে, ‘আমি কাউকে মারলে এইদিক দিয়ে রক্ত বের হয়। তোকে ভাই ভেবেছিলাম, তাই মারতেও মায়া লাগছে।’ অনবরত এমন মারধর দেখে জুনায়েদকে আস্তে মারতে বলে ভিডিও ধারণকারী সহযোগী মৃদুল। ওই কথায় কান না দিয়ে মৃদুলকেও মারধরে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানায় জুনায়েদ।
ওই মারধরের ঘটনায় গত ১৪ মার্চ রাতে ধানমণ্ডি থানায় মামলা করে নুরুল্লাহ।
সূত্র: প্রিয়.কম