৩০ মার্চ, ২০১৬: দাফনের ১০দিন পর বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের কবরস্থান থেকে ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
সোমবার মামলার সুষ্ঠু তদন্ত, ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ, সুরতহাল তৈরি ও পুনরায় ময়নাতদন্ত করতে কবর থেকে লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন কুমিল্লার একটি আদালত। জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি একেএম মনজুর আলমের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন।
লাশ উত্তোলনের সময় ঢাকা সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম, কুমিল্লারা পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন, লাশ উত্তোলনের জন্য দায়িত্ব পাওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কুমিল্লা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, তনুর বাবা ইয়ার হোসেন ও বড় ভাই নাজমুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
কবরস্থানের পাশে মাঠে একটি সামিয়ানা টানানো হয়েছে। সেখানে প্রশাসনের লোকজন অবস্থান করেন। সকাল থেকে কবরস্থানে পাশে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে। তাদের নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সদস্যদের বেগ পেতে হয়। যাত্রাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে এসে তনু হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করে। তনুর বাবা ইয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, তনু হত্যার সঠিক বিচারের জন্য লাশ উত্তোলন করা হচ্ছে বলে প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে। আমি মেয়ে হত্যার সঠিক বিচার চাই।
পুন:ময়নাতদন্তের জন্য কলেজ ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পুলিশের কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকাল ৪টার দিকে ময়নাতদন্ত শুরু হতে পারে।
ময়নাতদন্তের জন্য কুমেকের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক কান্ত প্রসাদ সাহাকে সভাপতি করে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর সদ্যসরা হলেন, কুমেকের সহযোগী অধ্যাপক ডা. করুনা রানী কর্মকার এং প্রভাষক ডা. ওমর ফারুক।