২৫ মার্চ ২০১৬: বাংলাদেশী এক শিক্ষার্থীর করা মামলায় বৃটেন থেকে বিদেশী শিক্ষার্থীদের গণহারে বিতাড়নের বিরুদ্ধে আদেশ দিয়েছে দেশটির ট্রাইব্যুনাল। ইংরেজি দক্ষতা যাচাই পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগ তুলে গণহারে বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিতাড়ন করে আসছিল বৃটেন। গত বুধবার দেশটির ‘ইমিগ্রেশন ও অ্যাসাইলাম’ বিষয়ক ট্রাইব্যুনালের দেয়া রায়ের ফলে শিক্ষার্থীদের এ ভোগান্তির অবসান হলো। এই রায়ের ফলে যেসব শিক্ষার্থী অন্যায়ভাবে বিতাড়নের শিকার হয়েছেন, তাদের পুনরায় যুক্তরাজ্যে ফেরা কিংবা ক্ষতিপূরণ দাবির সুযোগ হতে পারে বলে আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন।
ইংরেজি দক্ষতা যাচাই পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে টয়েক সনদ নিচ্ছে এমন তথ্য দিয়ে বিবিসি’র একটি অনুষ্ঠান প্রচারের পর বৃটিশ সরকার টয়েক সনদ দিয়ে ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করা শিক্ষার্থীদের গণহারে পাকড়াও শুরু করে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর শরীফ আহমদ মজুমদার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ২০১৪ ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্ট লন্ডনে এমবিএ পড়া অবস্থায় তিনি বাংলাদেশে গিয়েছিলেন বেড়াতে। ফেরার পথে তাঁকে হিথ্রো বিমানবন্দরে আটক করা হয়, কারণ তিনি ২০১২ সালে টয়েক সনদ ব্যবহার করে ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন। দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁর ভিসা বাতিল করে দেয়া হয়। বিষয়টি তিনি আদালতে চ্যালেঞ্জ করেন।
স্বরাষ্ট্র দপ্তর বিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ার কিথ ভাজ ইনডিপেনডেন্টকে জানিয়েছেন, হাজার হাজার নিরপরাধ বিদেশি শিক্ষার্থীর প্রতি যে অন্যায় আচরণ করা হয়েছে সেটা স্পষ্ট। এমন আচরণের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র দপ্তরকে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। যদিও দেশটির স্বরাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, এই রায়ের পর তারা আপিলসহ পরবর্তী করণীয় নিয়ে ভাবছে।