১৭ মার্চ, ২০১৬: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনার অনুসন্ধান করতে বাংলাদেশ আসছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। শুক্রবার তাদের বাংলাদেশ ব্যাংক পরিদর্শন করার কথা রয়েছে। একই দিন তারা বাংলাদেশি গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডির সঙ্গেও বৈঠক করবে। এছাড়া ইন্টারপোলের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করবে তদন্ত সংস্থাটি।
ফেব্রুয়ারির শুরুতে ‘সুইফট ম্যাসেজ হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে’ অর্থ লোপাটের ওই ঘটনা বাংলাদেশের মানুষ জানতে পারে ২৯ ফেব্রুয়ারি ইনকোয়ারারের এক প্রতিবেদনে।
রিজার্ভের অর্থ চুরি যাওয়ার ৪০ দিন পর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবার মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে ওই মামলা করা হয়। মতিঝিল থানার ১৫ নম্বর মামলাটির তদন্তের ভার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। রিজার্ভের অর্থ চুরি যাওয়ার ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্তকাজ শুরুর পরই গতকাল বুধবার সিআইডির একটি তদন্ত দল দিনভর বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে সেখানকার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। পাশাপাশি আর্থিক লেনদেনের বার্তা আদান-প্রদানকারী আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সুইফটের বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা নেয়। আজও সিআইডির দলটি বাংলাদেশ ব্যাংকে যায়।
এদিকে সিনেট কমিটির অনুসন্ধানে দেখা যায়, ফেডারেল রিজার্ভ অব নিউ ইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঞ্চিত ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ৫ ফেব্রুয়ারি ফিলিপিন্সের মাকাতি শহরে রিজল ব্যাংকের জুপিটার স্ট্রিট শাখায় ভুয়া নামে খোলা চারটি অ্যাকাউন্টে জমা হয়। পরে তা তুলে স্থানীয় মুদ্রা পেসোয় রূপান্তর করা হয়।
এর মধ্যে ৪ কোটি ৬০ লাখ ডলার দুটি ক্যাসিনোর জুয়ার টেবিলে চলে যায় বলে সিনেট কমিটিকে জানিয়েছে ফিলিপিন্সের অ্যামিউজমেন্ট গেমিং করপোরেশন (পিএজিসিওআর), যারা ক্যাসিনোগুলোতে আর্থিক লেনদেনের নজরদারির দায়িত্বে রয়েছে।
London Bangla A Force for the community…
