১৩ মার্চ ২০১৬: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি যাওয়া ১০১ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে ৬৮ হাজার ডলার ফেরৎ পাওয়া গেছে। ফিলিপাইন থেকে এ অর্থ ফেরৎ এসেছে বলে জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক বিভাগের সচিব এম আসলাম আলম।
রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মো. রাজি হাসানের সঙ্গে বৈঠক শেষে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের তিনি এ কথা জানান। এসময় চুরির ঘটনার দু’মাসেও মন্ত্রণালয়কে অবহিত না করায় তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান দেশের বাইরে অবস্থান করায় সচিব এম আসলাম আলম ডেপুটি গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করেন। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে সোমবার গভর্নর দেশে ফিরছেন। এম আসলাম আলম বলেন, ‘অর্থ লোপাটের এ ঘটনায় ভবিষ্যত করণীয় নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী ১৫ মার্চ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জরুরি বোর্ডসভা ডাকা হয়েছে। সেখানে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।’ সচিব বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক নয়, আইটি নিরাপত্তা এখন ব্যাংকিং খাতের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি। লোপাটের যে টাকা ফিলিপাইনে গেছে সেখান থেকে ৬৮ হাজার মার্কিন ডলার ফেরৎ পাওয়া গেছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান জানিয়েছেন, রিজার্ভের চুরি হওয়া অর্থের আট কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনে গেছে। এর মধ্যে ফিলিপাইনের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কর্তৃপক্ষ সে দেশের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের ছয়টি হিসাব জব্দ করেছে। তবে সাত কোটি ১০ লাখ ৩২ হাজার ডলারের হদিস মিলছে না। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ অ্যাকাউন্ট থেকে ১০১ মিলিয়ন ডলার চুরি হয়। ওই টাকার ৬১ মিলিয়ন ডলার পাঠানো হয় ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্টে। বাকি ২০ মিলিয়ন ডলার পাঠানো হয় শ্রীলংকায়।’ প্রাপক প্রতিষ্ঠানের নামের বানান ভুলে সন্দেহ দেখা দেওয়ায় ব্যাংক কর্মকর্তারা আটকে দেন ওই ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যোগাযোগ করে ওই ব্যাংক কর্মকর্তার নিশ্চিত হন যে, এ টাকা চুরি হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ফান্ড থেকে। পরে সে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে।