১২ মার্চ, ২০১৬:রাজধানীতে জমি দখল ও পাওনা টাকা উদ্ধারে যেতে পারবে না পুলিশ। আর নির্দেশ অমান্য করে কোন পুলিশ কর্মকর্তা এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়াবে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শনিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দফতরে মাসিক অপরাধ সভায় এ নির্দেশনা দেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
তিনি বলেন, পুলিশের কাজ আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা। সকাল ১১টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এ সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির সকল থানার ওসি, সকল জোনের এসি, সকল ক্রামই ডিভিশনের ডিসি, অতিরিক্ত কমিশনার, যুগ্ম কমিশনারগণ।
সূত্র জানায়, সভার শুরুতে গত মাসে সংগঠিত অপরাধ পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়। এতে দেখা হয় খুনসহ অন্যান্য অপরাধ কমলেও বেড়েছে ছিনতাইয়ের ঘটনা। গত মাসে নগরীতে ২৬টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। যা ছিল গত এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ছিনতাই বেড়ে যাওয়ায় চরম অসন্তোষ প্রকাশ করে কমিশনার। তিনি ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশের টহল বাড়ানোর নির্দেশ দেন। পাশাপাশি গুরুত্ব দেন বিট পুলিশিংয়ের উপর। একই ভাবে ভাড়াটিয়াদের ব্যপারে তথ্য সংগ্রহের অগ্রগতি নিয়ে কথা বলেন।
আছাদুজ্জামান মিয়া নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, পুলিশের তথ্য সংগ্রহকালে অনেকের মধ্যে আশঙ্কা ও উদ্বেগ দেখা গেছে। এতে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের ধরতে এ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এতে পুলিশের প্রতি সাধারণ জনগণের আস্থা বাড়বে। তিনি বলেন, ভাড়াটিয়াদের যে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, তা ডিএমপির কাছে সংরক্ষিত থাকবে। অন্য কোনো কাজে তা ব্যবহার করা হবে না।