২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: মাঠের পারফরমেন্সের সঙ্গে একজন ক্রিকেটারের আচরণও হতে হয় বিশ্বমানের। খেলোয়াড়দের মাঠের আরচণ নিয়ে বেশ কড়া বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসিও। মাঠের বড়কর্তা আম্পায়াররা যে সিদ্ধান্ত নেবেন তাতেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে ক্রিকেটারদের। আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত নিয়ে অশোভন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখানো যাবে না। আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারতীয়রা সবসময়ই বাড়াবাড়ি করে মাঠে। তাদের শারিরীক অঙ্গভঙ্গিতে আচরণের বহি:প্রকাশ দেখা যায়।
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের কথা। ভারতের ইনিংসের ১৫ তম ওভার। বাংলাদেশের আম্পায়ার সারফুদ্দৌলা সৈকতের একটি সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি ভারতের ক্রিকেটাররা। আশিস নেহরার বলে খুররাম মনজুরকে কট বিহাইন্ডের জোরালো আবেদন করেছিলেন ভারতের ক্রিকেটাররা। অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি এ নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেছিলেন আম্পায়ারের সঙ্গে। বেশ কিছুক্ষণ আবেদনের পরও আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় কিছুটা ক্ষেপেই গিয়েছিলেন কোহলিরা। ওভার শেষ হওয়ার পর আম্পায়ারের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতে দেখা গেছে ধোনিকে। আর কোহলি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের পর পরই দেখিয়েছেন চরম অসহিষ্ণু আচরণ। টেলিভিশন রিপ্লে দেখে মনে হয়েছে যে, আম্পায়ার সারফুদ্দৌলাকে অশ্রাব্য একটি গালিই দিয়ে বসেছেন ভারতের এই তারকা ক্রিকেটার। আর সেটা ম্যাচ রেফারীর নজর এড়ায়নি। তাই, শাস্তির মুখেই পড়তে হল তাকে।
আইসিসির বেঁধে দেয়া নীতিমালা অনুযায়ী লেভেল ওয়ানের আইন ভঙ্গ করায় কোহলির ম্যাচ ফি’র ত্রিশ শতাংশ কেটে নেয়া হয়েছে। আইসিসি বলেছে, ‘আন্তর্জাতিম ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতি কোহলি অশ্রদ্ধ প্রকাশ করেছে।’ যার ফলে আর্টিকেল ২.১.৫ অনুযায়ী শুনানীতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।