২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬: বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অর্থপাচার (মানিলন্ডারিং) মামলায় জারি করা সমনের চিঠি লন্ডনের ঠিকানায় পৌঁছানো হয়েছে কি-না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার এই তথ্য আগামী তিনদিনের মধ্যে হাইকোর্টকে এ বিষয়ে অবহিত করতে ঢাকা চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি একই মামলায় তারেক রহমানকে খালাস দিয়ে বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের করা আপিল শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ৩ মার্চ। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ খুরশিদ আলম খান। আদেশের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, অর্থপাচার মামলায় তারেক রহমানের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের করা আপিলের পর ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট তাকে (তারেক রহমান) বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন।
সর্বশেষ হাইকোর্ট বিভাগ এ বিষয়ে চলতি বছরের ২০ ও ২১ জানুয়ারি দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্ত দেন। কিন্তু তিনি এখনো আত্মসমর্পণ করেননি। এ কারণে হাইকোর্ট তারেকের নামে সমনের চিঠি লন্ডনের ঠিকানায় পৌঁছেছে কি-না, তা জানাতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন। ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় তারেক রহমান ও তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের মামলাটি করে দুদক। ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর ওই মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক মো. মোতাহার হোসেন রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তারেক রহমানকে খালাসের পাশাপাশি গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর আপিল করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি এ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে আদেশ দেন।
তারেক রহমান বর্তমানে যুক্তরাজ্যে আছেন। চিকিৎসার জন্য ২০০৮ সালে তিনি উচ্চ আদালতের অনুমতি নিয়ে সেখানে যান। পরে তার জামিন বাতিল করে এই মামলায় আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করা হয়। তিনি না আসায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আইনের দৃষ্টিতে তারেক রহমান বর্তমানে পলাতক আছেন।
সূত্র: প্রিয়.কম
London Bangla A Force for the community…
