ব্রেকিং নিউজ
Home / প্রচ্ছদ / ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা নিয়ে বৃটেনে গণভোট ২৩শে জুন

ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা নিয়ে বৃটেনে গণভোট ২৩শে জুন

২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা না থাকা নিয়ে বৃটেনে গণভোট হবে আগামী ২৩শে জুন। এমন ঘোষণা দিয়েছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। মন্ত্রিপরিষদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ডাউনিং স্ট্রিটে ঐতিহাসিক এ ঘোষণা দিলেন তিনি। তিনি বলেন, ইইউতে বৃটেনের বিশেষ মর্যাদা নিশ্চিত হওয়ার পর তার মন্ত্রিসভা এখন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অংশ হিসেবে থাকার পক্ষে মত দিয়েছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি। শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও মন্ত্রিপরিষদের জরুরি বৈঠক ডেকে যেভাবে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীকে এই গণভোটের তারিখ ঘোষণা করতে হলো, তা থেকেই এর গুরুত্বটা স্পষ্ট। এর আগে শনিবার মন্ত্রিপরিষদের এ রকম জরুরি বৈঠক বসেছিল ১৯৮২ সালে ফকল্যান্ড যুদ্ধের সময়। ব্রাসেলসের বৈঠক থেকে ফিরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যে সমঝোতায় তিনি পৌঁছেছেন, তা মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে ব্যাখ্যা করেছেন ডেভিড ক্যামেরন। আর তারপর দশ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে সাংবাদিকদের সামনে তিনি গণভোটের তারিখ ঘোষণা করেন। ডেভিড ক্যামেরন বলেন, তিন বছর আগে তিনি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এই গণভোটের তারিখ ঘোষণা করছেন। তিনি বলেন, বৃটেনের জনগণই এখন ইউরোপের প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নেবেন। জনগণ যে সিদ্ধান্তই নিক, তিনি তা বাস্তবায়নে
সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবেন। তিনি আরও বলেন, যদিও জনগণই সিদ্ধান্ত নেবেন, তারপরও তিনি মনে করেন বৃটেন যদি ইউরোপীয় ইউনিয়নেই থাকে, সেটাই বৃটেনের জন্য ভালো এবং জনগণের কাছে তিনি সেই সুপারিশই করছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ক্যামেরন যে সমঝোতায় পৌঁছেছেন, তার ফলে বৃটেনের নিজস্ব মুদ্রা পাউন্ডেই থাকতে পারবে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক একত্রীকরণ থেকে আলাদা থাকতে পারবে। এছাড়া ইউরোপের অন্য দেশ থেকে আসা অভিবাসীদের জন্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা সীমিত করে দিতে পারবে। এখন পর্যন্ত যা খবর, তাতে মন্ত্রিপরিষদের বেশির ভাগ সদস্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে এই সমঝোতা মেনে নিয়েছে। কিন্তু মন্ত্রিপরিষদের অনেক সদস্য এর বিরোধিতাও করছেন। তারা মনে করছেন, ক্যামেরন ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে যে ছাড় আদায় করবেন বলে কথা দিয়েছিলেন, তাতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি এই প্রশ্নে এখন স্পষ্টতই বিভক্ত। কিন্তু ডেভিড ক্যামেরনের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এখন বৃটেনের সাড়ে চার কোটি ভোটারকে ইউরোপে থাকার পক্ষে ভোট দিতে রাজি করানো।