ব্রেকিং নিউজ
Home / বাংলাদেশ / গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে সমন জারি

গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে সমন জারি

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: একাত্তরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে দায়ের করা মানহানি মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরু মিয়া এ সমন জারি করেন। নিজের বক্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে গয়েশ্বরকে আগামী ১৬ মার্চ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে সমন জারি করেছেন বিচারক।

গত ২১ জানুয়ারি বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃস্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মণীন্দ্র কুমার নাথ গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির এই মামলাটি দায়ের করেন। সেদিন তার বক্তব্য শুনে শাহবাগ থানার ওসিকে বিষয়টি কদন্তের নির্দেশ দেন মহানগর হাকিম আমিনুল ইসলাম। বাদীর আইনজীবী তপো গোপাল ঘোষ বলেন,‘শাহবাগ থানার পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেছে। প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতেই মহানগর হাকিম তাকে (গয়েশ্বর চন্দ্র রায়) আদালতে হাজির হতে বলেছেন।’ এর আগে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির আলোচনা সভায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘তারা নির্বোধের মতো মারা গেলো, আমাদের মতো নির্বোধরা প্রতিদিন শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে ফুল দেয়। না গেলে আবার পাপ হয়। ওনারা যদি এতো বুদ্ধিমান হন, তাহলে ১৪ তারিখ পর্যন্ত তারা নিজের ঘরে থাকে কি করে, একটু বলেন তো’।  তিনি আরো বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীর বিচারটা করেছেন ভালো। এরা (বুদ্ধিজীবী) যে শেষদিন পর্যন্ত পাকিস্তান সরকারের বেতন-ভাতা খাইলো, এটাওতো কথা বলা যায়, যায় না? পাকিস্তান সরকারের তারা বেতন খাইলো, তারা হয়ে গেল মুক্তিযোদ্ধা, আর যারা না খেয়ে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াল তারা হয়ে গেল রাজাকার’। বাদী মামলায় উল্লেখ করেন, গয়েশ্বরের এহেন বক্তব্য শহীদ পরিবারের সন্তান হিসাবে তার মানহানি ঘটিয়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে ওই মন্তব্যের কারণে এক আইনজীবীর করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা আমলে নিয়ে গত ২৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে আদালত। খালেদাকে আগামী ৩ মার্চের মধ্যে আদালতে হাজির হয়ে অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন ঢাকার মহানগর হাকিম রাশেদ তালুকদার।