১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬:
বান্দরবানের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র বৌদ্ধ ধাতু জাদী স্বর্ণ মন্দিরে পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে বলে নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়েছে মন্দিরের গেইটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান নামে পরিচিত বৌদ্ধ ধাতু জাদী স্বর্ণ মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা উপঞঞা জোত মহাথেরো উচহ্লা ভান্তে সাংবাদিকদের জানান, ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় এ প্রতিষ্ঠানের পবিত্রতা এবং মর্যাদাহানি করছে। মন্দিরের বৌদ্ধ মূর্তিগুলোর সঙ্গে বিভিন্ন অশোভন ভঙ্গিতে ছবি তোলে এবং তাদের ফেসবুকে আপলোড করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সদস্য এবং বৌদ্ধ ভান্তেদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করার কারণে মন্দির পরিচালনা কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। তবে পূজারীরা অনুমতি সাপেক্ষে মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন।
এদিকে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যবসায়ীরা জানান, বান্দরবানের পর্যটন শিল্পের বিকাশে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান নামে পরিচিত স্বর্ণ মন্দিরের ভূমিকা কম নয়। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পবিত্রতা রক্ষা করা সবার দায়িত্ব। কিন্তু অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র স্বর্ণ মন্দিরে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পর্যটকদের ভ্রমণে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা জেলার পর্যটন শিল্পের ক্ষতি বয়ে আনবে।
ঢাকার পর্যটক সুলতানা ইয়াসমিন ও নাভিল রহমান দম্পতি বলেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পবিত্রতা রক্ষায় নেওয়া সিদ্ধান্ত যৌক্তিক। কিন্তু এটি পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত পর্যটন স্পটগুলোর অন্যতম। সেই ক্ষেত্রে কোনো অজুহাতে পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে না। আর ভিতরে ঢুকতে না দিলেও দূর থেকে দেখার সুযোগ তো থাকছেই।
সাম্প্রতিক সময়ে ওই স্বর্ণ মন্দিরে পর্যটকদের জুতা পায়ে প্রবেশ, বৌদ্ধ মূর্তির সঙ্গে অশোভন ভঙ্গিতে ছবি তোলা এবং মন্দিরে প্রবেশে টিকেট সংগ্রহ করা নিয়ে কর্মরত ভান্তের সঙ্গে ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের কয়েক বার বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। মন্দিরের পবিত্রতা রক্ষায় পরিচালনা কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।