১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: নাশকতার দুই মামলায় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ছয় মাসের অন্তবর্তী জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগ।
জামিন আবেদন শুনানি শেষে সোমবার হাই কোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। তবে দুর্নীতির আরো একটি মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন বিবেচনাধীন থাকায় তিনি আপাতত মুক্তি পাচ্ছেন না বলে জানা গেছে। এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন মির্জা আব্বাস।
রাজধানীর পল্টন ও মতিঝিল থানায় করা নাশকতার দুই মামলায় তিনি গত ৬ জানুয়ারি নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। নিম্ন আদালতে জামিন নাকচ হওয়ার পর উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করেন বিএনপির ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস। দুর্নীতির একটি ও নাশকতার তিন মামলায় আবেদন করেন তিনি।
মির্জা আব্বাস মন্ত্রী থাকা অবস্থায় প্লট বরাদ্দের বিষয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে ২০১৪ সালে শাহবাগ থানায় মামলা করে দুদক। এ ছাড়া পল্টন ও মতিঝিল থানায় নাশকতার অভিযোগে দায়েরকৃত দুই মামলাসহ তিন মামলায় তিনি এ জামিন আবেদন করেন।
মির্জা আব্বাস মন্ত্রী থাকা অবস্থায় সাংবাদিকদের মাঝে যে সকল প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন তাতে ১৫ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার ৯০০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে মামলা করে দুদক। এ মামলাসহ নাশকতার অপর দুই মামলায় তিনি গত ৬ জানুয়ারি নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু আদালত তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। নিম্ন আদালতে জামিন নাকচ হওয়ার পর উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। মির্জা আব্বাস কারাগারে রয়েছেন।