মানবতাবিরোধি অপরাধে দন্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির দন্ড শনিবার রাতেই কার্যকর করতে চাইছে সরকার। এই জন্য কারাগারের ভেতরে সব রকম প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। যারা ফাঁসির আদেশ কার্যকর করবেন তাদেরকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তেôর পরই এই ব্যাপারে তাদেরকে জানানো হবে। তবে কোন কারণে রাষ্ট্রপতি তাদের আবেদনের ব্যাপারে সিদ্ধান্তô নিতে সময় নিলে ভিন্ন হতে পারে, কিংবা সময় পরিবর্তন হতে পারে, না হলে আজই তাদের রায় কার্যকর করা হতে পারে। সেটা রাত ১০ টার পর যে কোন সময় হতে পারে। সরকারের নীতি নির্ধারকদের একজনের সূত্রে এই তথ্য মিলেছে।
এদিকে রাষ্ট্রপতির কাছে তাদের দুইজনের আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাঠানোর সব প্রক্রিয়া চলছে। সরকার চাইছে রাষ্ট্রপতি যাতে কোন ভাবেই তাদেরকে ক্ষমা না করেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, তারা আবেদন করেছেন। তাদের আবেদনের বিষয়টি দ্রম্নত নিস্পত্তি করে আদালতের রায় কার্যকর করা হবে।
আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে অন্য ক্ষেত্রে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করলে নিস্পত্তি করতে যত সময় লাগে। এটা নিস্পিত্তি করতে এর চেয়েও কম সময় লাগবে। সেইভাবে কম সময়ে নিস্পত্তি করা হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন এটা দ্রম্নত সময়ের মধ্যে নিস্পত্তি হবে। আর সেটা করে জনগণের দাবি অনুযায়ী ও আদালতের দেওয়া রায় অনুযায়ী তাদের শাস্তিô কার্যকর করা হবে।
এদিকে সূত্র জানায়, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও মুজাহিদের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরা আজ আর একবার দেখা করার সুযোগ দেওয়া হবে না। আইনজীবীরা দেখা করার কোন সুযোগ পাচ্ছেন না।
এই ব্যাপারে আইনমন্ত্রী বলেন, তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা হয়েছে শুক্রবার। আবার দেখা করানোর প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না। আমি যতখানি জানি কারা কর্তৃপক্ষ সব প্রক্রিয়া শুক্রবারই সম্পন্ন করেছেন। আইনজীবীরা দেখা করতে পারবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার আইনজীবীরা এখন কি কারণে দেখা করবেন? কেউ কেউ বলছেন তাদের আইনজীবীদের দেখা করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। আসলে এটা ঠিক না। কারণ আদালত ও আইনজীবীদের বিষয়টি শেষ হয়ে গেছে বৃহস্পতিবারই। এখন আর আইনজীবী আর আদালতের কোন কাজ নেই। এখন সর্বোচ্চ আদালতের রায় কার্যকর করা হবে।
তিনি বলেন, আইনজীবীরা এখন দেখা করতে কেন যাবেন তাদেরতো কোন আইনী প্রক্রিয়া বাকি নেই। যেখানে কোন প্রক্রিয়া নেই সেখানে তাদের দেখা করতে দেওয়া হবে কেন।
তিনি বলেন, সরকার তাদের রায় কার্যকর করার ক্ষেত্রে কোন ধরনের আইনের ব্যতয় ঘটাতে চাইছে না। সর্বোচ্চ আইনী সুবিধা তাদের দেওয়া হয়েছে। এমন কোন আইনী সুবিধা নেই যা তারা নিতে পারেননি। শেষ মুহুর্তেও তারা প্রাণভিক্ষার আবেদন করার ও তাদের কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন। রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেছেন। সরকার এই মামলায়র রায় কার্যকর করবে দ্রম্নতই। তিনি বলেন, আমরা আশা করি রাষ্ট্রপতি তাদের ক্ষমা করবেন না এবং তাদের দন্ড মওকুফ কিংবা স্থগিত করবেন না।
তিনি বলেন, আজ দেশের মানুষ এই মামলার রায় কার্যকর করা দেখতে চাইছে। এই জন্য বিভিন্ন মানুষ রায় কার্যকর করার দাবিতে প্রতিবাদ করছে। কেন দেরি হচ্ছে সেটাও বলছে। তারা চায় দ্রম্নত সরকার রায় কার্যকর করম্নক। কিন্তু আমরা চেয়েছি এই বিচার নিয়ে যাতে কারো মনে বিন্দুমাত্র কোন প্রশ্ন তুরতে না পারে এবং স্বচ্ছতার দিক থেকেও দৃষ্টান্তô স্থাপন করে। সেটাই হতে যাচ্ছে। এই মামলার বিচার কাজে সকল প্রকার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়েছে।