ব্রেকিং নিউজ
Home / বাংলাদেশ / প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে ‘তোলপাড়’

প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে ‘তোলপাড়’

Hasina-Khaleda০৫ অক্টোবর, ২০১৫: জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদান এবং লন্ডন সফর শেষে দেশে ফিরে রোববার গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে তিনি বিদেশ সফরের সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

এরই অংশ হিসেবে জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি শফিকুর রহমান একটি প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রীকে। প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, আপনি যখন নিউ ইয়র্কে, ঠিক একই সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনে। সেখানে একটি অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া আওয়ামী লীগের কিছু সংখ্যক দেশপ্রেমিককে নিয়ে সরকার গঠনের ইঙ্গিত দিয়েছেন।

তিনি (খালেদা) বলেছেন, আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের দেশপ্রেমিক নেতাদের নিয়ে দেশ চালনো হবে। কারণ আওয়ামী লীগে অনেক দেশপ্রেমিক ও মেধাবী নেতা রয়েছে।

এসময় হাসতে হাসতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মধ্যে যদি খালেদা জিয়া প্রেমিক খুঁজে পান তাহলে ফালুর কী হবে?’ প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের উত্তরে গণভবনের সম্মেলন কক্ষে সবার মাঝে হাসির রোল পড়ে যায়।

উল্লেখ্য, মোসাদ্দেক আলী ফালু খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এবং বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদান, চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ ও আইসিটি টেকসই উন্নয়ন সম্মাননা প্রাপ্তিসহ পুরো সফর নিয়ে গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন শেষ হওয়ার পর বিকেলে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে তীব্র নিন্দা জানান।

ড. রিপন বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনকে জড়িয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তা খুবই অরুচিকর। আমরা প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘সরকার প্রধান দেশের অন্যতম একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলেরও প্রধান। তার কাছ থেকে নতুন প্রজন্ম-তরুণ-যুব সম্প্রদায় থেকে শুরু করে দেশের আপামর মানুষ রুচিবোধ সম্পন্ন দায়িত্বশীল বক্তব্য প্রত্যাশা করেন। কিন্তু তিনি যখন দেশের অপর আরেকটি বিরোধী দলের প্রধান-যিনি দেশের তিনবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন- তার সম্পর্কে অরুচিকর মন্তব্য করেন, তখন সরকার প্রধানের দৃষ্টিভঙ্গি-রুচি নিয়ে মানুষ শুধু হতাশই হননা দুঃখও পান।’

কাউকে অপমান করে, কারো প্রতি কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে কেউ কখনো বড় হতে পারে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘একজন শীর্ষ পর্যায়ের রাজনীতিক হিসেবে তার কাছ থেকে মানুষ অপরাপর শীর্ষ রাজনীতিকদের সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য শুনতে লজ্জিত হন। এতে করে রাজনীতি-রাজনৈতিক নেতৃত্বই লজ্জিত হয়। এই অপরাজনীতি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিকে সঙ্কটের মধ্যে ফেলে দেবে।’