২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫: নিউইয়র্কের ম্যানহাটানে যুক্তরাষ্ট্র ঐক্যবদ্ধ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিক্ষোভে সমর্থন জানান নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় বিভিন্ন স্টেট থেকে আগত প্রবাসী বাংলাদেশি ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতৃবৃন্দ দলে দলে জাতিসংঘ অফিসের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে জাতিসংঘের সদর দফতর এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিরাপত্তা রক্ষীরা জাতিসংঘ অফিসের বিশেষ দরজা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রবেশ করে।
বিক্ষোভস্থল থেকে টেলিফোনে বাংলাদেশের এক সাংবাদিক জানান, বিক্ষোভ চলাকালীন জাতিসংঘে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে হিল্টন হোটেল থেকে বেরিয়ে আসেন নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি জাতিসংঘের ৭০তম অধিবেশন উপলক্ষে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন। এসময় বিক্ষোভে সমবেত প্রবাসী বাংলাদেশিরা তার কাছে এগিয়ে গিয়ে স্বাগত জানান। তিনিও হাসিমুখে অনেকের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং ছবি তুলেন। এরপর বিক্ষোভকারীরা নিউইয়কের্র হোটেল হিল্টনের সামনে অবস্থান নেয়। সেখানে শেখ হাসিনাকে প্রতিরোধের ঘোষণা দেয় বিক্ষুব্ধ প্রতিবাদকারীরা। সোমবার সেখানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেয়ার কথা রয়েছে। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা আবদুল লতিফ সম্রাট, জিল্লুর রহমান জিল্লু, শরাফত হোসেন বাবু, ডা. মুজিবুর রহমান, প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন, গিয়াস আহমেদ, জসীম উদ্দিন ভুইয়া, মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, জাকির এইচ চৌধুরী, আবু সাঈদ আহমেদ, মিজানুর রহমান, নূর মোহাম্মদ, কাজী আজম, গোলাম ফারুক, এম এ বাতিন, তোফায়েল লিটন চৌধুরী, রফিকুল মাওলা, আতিকুর রহমান, সাঈদুর রহমান সাঈদ, এম এ খালেক আখন্দ, হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, জাহাঙ্গীর এম আলম, নীরা রাব্বানী আহবায়ক, আব্দুস সবুর, ভিপি জসিম, মোহাম্মদ হাসান, ওয়াহেদ আলী মন্ডল নূরে আলম,এবাদ চৌধুরী, ড. নুরুল আমিন পলাশ, সায়েম চৌধুরী প্রমুখ। প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে অনতিবিলম্বে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তনের জোর দাবি জানানো হয়। বিক্ষোভকারীরা সরকার পতনের বৃহত্তর আন্দোলনের সাথেও একাত্মতা ঘোষণা করেন।