২০ আগষ্ট, ২০১৫: হাজিদের পকেটমারতে সৌদি আরবে যায় পকেটমাররা। প্রতি বছরই পকেটমারের একটা বা দুটো গ্রুপ হজে গিয়ে পকেটমারসহ নানা ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড করে থাকে। এ বছর এ চক্রের তিন সদস্য বাংলাদেশ থেকে হজে যাচ্ছিলেন পকেটমারের জন্য। এ তিনজনকে হজে পাঠাতে পরিকল্পনাকারী হাজি আব্দুল গফুর ১২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। এ বছর হজ থেকে তার আয়ের টার্গেট ছিল এক কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম এসব কথা জানান।
তিনি জানান এই চক্রের ৬ জন সহ মোট ১২ জন পকেটমার ও অজ্ঞান পার্টির সদস্যকে আটক করা হয়েছে। হাজিদের পকেটমার গ্রুপের ৬ জনের মধ্যে হাজি আব্দুল গফুর বিনিয়োগ ও পরিকল্পনাকারী, মো. টুটুল বিশ্বাস দলনেতা, সেকেন্ড-ইন-কমান্ড কাজী সারোয়ার জামাল ওরফে নেতাজী, আলহাজ্ব মো. ইব্রাহিম, মো. মনির হোসেন, মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে বাচ্চু। এদের মধ্যে আলহাজ্ব মো. আব্দুল গফুর, আলহাজ্ব মো. টুটুল বিশ্বাস ওরফে সুমন এ বছর পকেটমারের উদ্দেশ্যে হজ পালন করতে যাচ্ছিলেন। আরেক পকেটমার মো. রওশনও তাদের সঙ্গে সৌদি আরব যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। তবে রওশন এখন পলাতক।
মনিরুল ইসলাম জানান, হাজি মো. টুটুল বিশ্বাস সৌদি আরবে ধরা পড়েছেন এবং দুবছর কারাগারে ছিলেন। এবার এই তিনজন হজে যাওয়ার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছিলেন।
মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, আন্তর্জাতিক ৩-৪টি গ্রুপ রয়েছে, যারা প্রতিবছর হজ গিয়ে নানা ধরনের অপরাধ কর্মকান্ড করে থাকেন। এমনকি বাংলাদেশ থেকে যাওয়া কিছু রোহিঙ্গা নাগরিকও সেখানে গিয়ে নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড করেন।