০৩ জুলাই ২০১৫: হজ নিয়ে কটূক্তি করে দল ও মন্ত্রীসভা থেকে বহিষ্কৃত আবদুল লতিফ সিদ্দিকী প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, সংসদ সদস্য পদ যায় দুই কারণে। একটি হলো দলের বিরুদ্ধে সংসদে ভোট দিলে। আরেকটি ওই সংসদ সদস্য দল থেকে পদত্যাগ করলে। কিন্তু তিনি কোনোটিই করেননি। তাই বুঝতে হবে, তার সদস্য পদ আছে। আর দল সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়। কিন্তু নির্বাচিত করে সংসদীয় এলাকার জনগণ। তাই তাকে দল থেকে বহিষ্কারর করা হলেও তিনি স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হিসেবে সংসদে ওই এলাকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন।
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে তরুণ লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উদেশে সুরঞ্জিত সেন বলেন, উনি তো অনেক কথাই বলছেন। সরকার নির্বাচন দিতে ভয় পায়, পালিয়ে গিয়ে লুকাবারও জায়গা পাবে না। কিন্তু উনি তো নিজেই নির্বাচন করতে ভয় পান। নির্বাচন এলে পালিয়ে বেড়ান।
তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়া আগে মনস্থির করুক উগ্রবাদী-জঙ্গিবাদী রাজনীতি করবেন, না গণতান্ত্রিক পন্থায় রাজনীতি করবেন। আর গণতান্ত্রিক পথে রাজনীতি করতে গেলে উনাকে আগে জামায়াত পরিত্যাগ করতে হবে।
অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ব্যাংক জালিয়াতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নিষেধ কেন। দেশের অগ্রগতির পথে যদি কেউ বাঁধা হয়ে দাড়ায়, তাদের বিরুদ্ধে আপনাকে ব্যবস্থা নিতেই হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মোসলেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক নারায়ণ দেবনাথ, তরুণ লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম প্রমুখ।