২৯ জুন, ২০১৫: তিনবার পেছানোর পর বহুল আলোচিত ফেলানী হত্যা মামলার পুনর্বিচার কার্যক্রম আবার শুরু হচ্ছে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ভারতের কুচবিহার জেলা সদরের সোনারী এলাকায় অবস্থিত বিএসএফ সেক্টর সদর দপ্তরে স্থাপিত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স কোর্টে এ বিচার কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, বিগত ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোরে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া পার হয়ে ভারত থেকে দেশে ফেরার সময় ১৪ বছর বয়সী কিশোরী ফেলানীকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছিল বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ। তার লাশ কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুঁলে ছিল পাঁচ ঘণ্টা।
এ শোকাবহ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশে-বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশ সরকার এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে কড়া প্রতিবাদসহ ফেলানী হত্যার বিচারের জন্য চাপ দেওয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কুচবিহার জেলা সদরে বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে স্থাপিত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স কোর্টে ফেলানী হত্যার বিচার শুরু হয়। ১৯ আগস্ট অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে নির্দোষ ঘোষণা করে রায় দেয় ওই কোর্ট। ফেলানীর বাবা ও মা এ রায় প্রত্যাখান করলে ১৩ সেপ্টেম্বর মামলাটি পুনর্বিচারের সিদ্ধান্ত নেয় বিএসএফ কর্তৃপক্ষ। এরই প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পুনর্বিচার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর পাঁচ দিনের মাথায় বিচার কার্যক্রম মুলতবি করা হয়। এরপর ১৭ নভেম্বর কোর্টের কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়। এদিন এই কোর্টে আবার সাক্ষ্য দেন ফেলানীর বাবা। কিন্তু ২১ নভেম্বর অভিযুক্ত অমিয় ঘোষ কোর্টের ভিতরে অজ্ঞান হয়ে পড়লে কোর্টের কার্যক্রম ২০১৫ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত মুলতবি করা হয়। পরবর্তীতে ২৫ মার্চ বিচারকরা উপস্থিত থাকলেও বিএসএফের সরকারি আইনজীবী অসুস্থতার কারণে আসতে না পারায় বিচারিক কার্যক্রম ৩০ জুন পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।