২৯ জুন, ২০১৫: নায়করাজ রাজ্জাক আগের তুলনায় কিছুটা সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অমিত হাসান।
তিনি নিউজনেক্সটবিডি ডটকমকে জানান, নায়করাজ রাজ্জাকের বিষয়ে বিকালে আমি খোঁজ খবর নিয়েছি। তিনি এখন আগের তুলনায় সুস্থ আছেন। তবে এখনো আইসিইউতেই রয়েছেন এবং তাকে কমপক্ষে আরো দুদিন সেখানে অবস্থান করতে হবে।
এর আগে সোমবার দুপুরে ইউনাইটেড হাসপাতালের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হসপিটালের চিফ অব কমিউনিকেশন অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ডা. শাগুফতা আনোয়ার জানান, বর্তমানে নায়করাজ রাজ্জাক মানসিকভাবে সচেতন আছেন এবং ওষুধের মাধ্যমে তার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা এবং রক্তচাপের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। তবে তার রোগের জটিলতার কারণে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নায়করাজ গত ২৬ জুন সন্ধ্যায় বুকের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। সে সময় তিনি প্রচণ্ড ঘামছিলেন। বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. আদনান ইউসুফের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা করা হয় এবং নিবিড় পরিচর্যার জন্য জেনারেল আইসিউতে নেওয়া হয়। ওই সময় তাঁর নাড়ির স্পন্দন ছিল মিনিটে ১৩০ ও রক্তচাপ ছিল ১৪০/৯০। শব্দযুক্ত শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ওনার বুকে ওঠানামা হচ্ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দ্রুত প্রযোজনীয় চিকিৎসা দেওয়ার পর ধীরে ধীরে তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়। রক্তে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা কমে যায়। তবে ২৭ জুন তার আবার রক্তে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বাড়তে থাকে, যা বাই-প্যাপ মেশিনের সহায়তা নেওয়ার পরেও উন্নত হচ্ছিল না এবং একপর্যায়ে ওনার শ্বাসের স্বল্পতা ও মারাত্মক শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এ সময় রাজ্জাক ঘুমিয়ে পড়ছিলেন এবং তার রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে আসছিল। তার রক্তে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছিল বিধায় তাকে ২৭ জুন রাত ১১টা ৩০ মিনিটে ভেন্টিলেটরের মাধ্যমে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের আওতায় আনা হয়। গতকাল ২৮ জুন বক্ষব্যাধি, হ্দরোগ, মেডিসিন ও কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তার সার্বিক চিকিৎসা ও অবস্থার মূল্যায়ন করা হয় এবং বর্তমান চিকিৎসাই চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, যাতে ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতির মাধ্যমে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস ফিরিয়ে আনা যায়।
এদিকে নায়ক রাজ্জাকের পরিবার দেশবাসীর কাছে তার সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন।