আমেরিকার আফ্রিকান চার্চে ৯জনকে নিজের অস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যার পর সন্দেহভাজন ঘাতককে মানসিক রোগি সাজানো হচ্ছে। ঘাতক মুসলিম হলে এতোক্ষণে টেরোরিস্ট এ্যাটাক বলে মিডিয়ায় রব উঠে যেতো। কিন্তু ঘাতক সাদা চামড়ার হওয়ায় সম্ভবত সেখানে টেরোরিষ্ট শব্দটি ব্যবহার করে রং লাগায়নি মিডিয়া। অন্যদিকে টাওয়ার হ্যামলেটসের হিজাব এবং রোবকা পরিহিত মুসলিম ছাত্রীদের মাঝে মার্কিন ফাস্টলেডি কেন আসলেন এ নিয়েও ফিডম অব স্পীচের দোয়াই দিয়ে ও অপ্রাসঙ্গিকভাবে বেশ রংচং লাগিয়ে লেখালেখি হচ্ছে বৃটিশ মূলধারার মিডিয়ায়। আর এই অবস্থায় ইউকের হার্টফোর্ডশায়ারে ঘটেছে আরেক ঘটনা। সেখানে একটি বোমা আতঙ্কের ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহে বোরকা পরিহিত অবস্থায় এক শ্বেতাঙ্গ মানে হোয়াইট পুরুষকে আটক করেছে পুলিশ। হার্টফোর্ডশায়ার শহরের হোয়াইটফোর্ড টাউন সেন্টারে ট্রেভেল লগ হোটেলের সামনে একটি রাকসাক দেখে সন্দেহ করেন পথচারিরা। এ সময় কেউ কেউ পুলিশ ডাকেন। টিভি কার্টুন প্যাপা পিগ ব্র্যান্ডের ওই ব্যাগের ভেতরে বোমা আছে মনে করে ডাকা হয় বোমা বিশেষজ্ঞদের। আর্মি বোমা ডিসপোসাল বিশেষজ্ঞ এবং বোমা নিস্ক্রিয় করণের রোবট এসে পরীক্ষা নীরিক্ষা করে। এ সময় অত্র এলাকার সমস্ত রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেয়া হয়। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বোমাটি নিস্ক্রীয় করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হার্টফোডশায়ার কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহে এক শ্বেতাঙ্গ পুরুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নেকাবে সমস্ত মুখ ডেকে লম্বা কালো রংয়ের বোরকা পরিহিত ছিলেন তিনি। এ ঘটনা নিয়ে বিশেষ কোনো প্রচারণা নেই বৃটিশ মিডিয়ায়। তবে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি মুসলিম হলে যে কি অবস্থা হতো তা বলা মুশকিল। এর আগে ২০১১ সালের জুন মাসে ২৩ বছর বয়সের আরেক পুরুষকে কো-আপ ব্যাংকে বোমা রাখার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। এসব কারণে হোয়াটফোর্ড এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক আতঙ্গ দেখা দিয়েছে।