২৮ মে ২০১৫: ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং আদালতের নির্দেশে গতকাল বুধবার বিএনপির নেতা সালাহউদ্দিন আহমদকে কারাগারে নেওয়ার প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর আবারও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বুকে ব্যথা ব্যথার পাশাপাশি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে কারা কর্তৃপক্ষ সালাহউদ্দিন আহমদকে নেগ্রিমস (নর্থ ইস্টার্ন ইন্দিরা গান্ধী রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস) হাসপাতালে পাঠায়।বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
সালাহউদ্দিন আহমদের পরিবারের পক্ষ থেকে গতরাতে এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল দুপুরে সালাহউদ্দিন আহমদকে জেলা দায়রা জজের আদালতে তোলা হয়। আদালত তাঁকে ১৪ দিনের জন্য আইনি হেফাজতে (কারাগারে) পাঠানোর নির্দেশ দেন। আগামি ১০ জুন শুনানির জন্য তাঁকে আবার আদালতে হাজির করতে বলা হয়।
এর আগের দিন দুপুরে নেগ্রিমসের চিকিৎসকদের ছাড়পত্র পাওয়ার পর পুলিশ সালাহ উদ্দিনকে থানা হেফাজতে নিয়েছিল। সালাহ উদ্দিন আহমদের রিমান্ড প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, পুলিশ তাঁকে রিমান্ডে নিতে আদালতে কোনো আবেদন করেনি।
১১ মে ভোরে সালাহ উদ্দিন আহমদকে উদ্ভ্রান্ত অবস্থায় ঘুরতে দেখে শিলংয়ের গলফ-লিংক এলাকার লোকজন পুলিশে খবর দেয়। এরপর পুলিশ অবধৈ অনুপ্রবেশের দায়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পাস্তুর পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। পরে তাঁর প্রাথমিক স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য নেওয়া হয় সেখানকার সিভিল হাসপাতালে। এরপর শিলং সদর পুলিশ থানা হয়ে নেওয়া হয় মানসিক হাসপাতাল মিমহানসে। এক দিন পর মিমহানস থেকে আবার তাঁকে পাঠানো হয় সিভিল হাসপাতালে। এরপর ২০ মে সিভিল হাসপাতাল থেকে সালাহ উদ্দিন আহমদকে নেগ্রিমসে আনা হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকদের ছাড়পত্র পাওয়ার পর পুলিশ গত মঙ্গলবার বিএনপির এ নেতাকে শিলং সদর থানা হেফাজতে নিয়ে গিয়েছিল।
সূত্র: নয়া দিগন্ত অনলাইন