১৯ মে ২০১৫: ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড মুখ ফিরিয়ে নিলেও ফিলিপাইন ইতিবচাক মনোভাব প্রকাশ করেছে। তারা সাগরে ভেসে থাকা মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম ও বাংলাদেশিদের আশ্রয় দেবে।
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট বেনিগনো এ্যাকুইনো’র মুখপাত্র হেরমিনিয়ো কলোমা মঙ্গলবার বলেন, ‘সাগরে ভাসমান নৌকারোহীদের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির মেয়াদ বাড়িয়েছে ফিলিপাইন সরকার। এমনকি সত্তর দশকে ভিয়েতনাম থেকে আসা নাগরিকদের জন্য শিবির নির্মাণের কাজও শুরু করা হয়েছে।’
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক কনভেনশনে স্বাক্ষর করা দেশ ফিলিপাইন জানিয়েছে, তারা সাগরে আটকে পড়া বিদেশীদের আশ্রয় দিতে প্রস্তুত রয়েছে। হেরমিনিয়ো কলোমা বিবৃতিতে আরো বলেন, আমরা কনভেনশনের চুক্তি অনুযায়ী সঙ্কটাবস্থায় পড়া লোকদের জীবন বাঁচাতে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করে যাব। ফিলিপাইনের এমন ঘোষণায় সাগরে আটকে পড়া প্রায় ৮ হাজার রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় পাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মুখপাত্র জো লওরি বলেন, এটা একটি আশাব্যঞ্জক ইঙ্গিত। আমরা আশা করব এই অঞ্চলের সরকারগুলো তাদের খেলা বন্ধ করবে। আমরা বলেছি ১০ দিনের জন্য হলেও তাদের (বিদেশগামী) আশ্রয় দেয়া হোক। আমরা জানি না ইতোমধ্যে কত জন মারা গেছে।
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সূচি রোহিঙ্গা ইস্যুতে এই প্রথম মুখ খুলেছেন। তার দলের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের এ পরিস্থিতিকে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সম্প্রতি সমুদ্র উপকূলে প্রায় তিন হাজার বিদেশগামীর সন্ধান পাওয়া গেলেও তাদের আশ্রয় দেয়নি মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ড। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা দেশগুলোকে বিদেশগামীদের আশ্রয় দেয়ার আহ্বান জানালেও এখন পর্যন্ত তারা তাতে সাড়া দেয়নি। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।
London Bangla A Force for the community…
