নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনে ১৩ থেকে ১৪টি গাড়ির বহর নিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী আনিসুল হক। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৬টি ওয়ার্ড পরিদর্শনের ঘোষণা দিয়ে আজ রোববার দুপুর ১২টার সময় মহাখালী থেকে গাড়ির বিশাল বহর নিয়ে তিনি এ শোভাযাত্রা শুরু করেন। এর ফলে বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
অথচ গতকাল শনিবার আনিসুল হক রাজধানীর তেজগাঁও কলেজে তাঁর নির্বাচনী প্রচারের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচনের আচরণবিধির প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অনুরোধ করেন। তিনি বলেছিলেন, খালেদা জিয়া দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। নির্বাচনের আচরণবিধি অনুযায়ী বিশাল বহর নিয়ে কারও পক্ষে প্রচার চালানোর নিয়ম নেই।
আজ আনিসুলের শোভাযাত্রাটি মিরপুর, ভাসানটেক ও মাটিকাটা হয়ে এখন উত্তরার পথে আছে। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিপু মনি, আওয়ামী লীগ নেতা ও ঢাকা উত্তরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচনের সমন্বয়কারী ফারুক খান এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও তাদের গাড়ি এ বহরে রয়েছে। এ ছাড়া বহরের সঙ্গে আছে সাত থেকে আটটি গণমাধ্যমের গাড়ি। আনিসুল হকের গাড়িবহরের সঙ্গে পুলিশ সদস্যবাহী একটি মাইক্রোবাসও আছে।
আনিসুল হক একটি খোলা ট্রাকে করে যাচ্ছেন। কিছুক্ষণ পর পর বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাঁর বহরটি থামছে এবং সেখানে আগে থেকে উপস্থিত আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা তাঁকে স্লোগান দিয়ে স্বাগত জানাচ্ছেন। আনিসুল হক সংক্ষিপ্ত পথসভাগুলোতে বক্তব্য দিচ্ছেন। অনেক স্টপেজেই পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। রাস্তায় থাকা ট্রাফিক পুলিশ ও অন্য পুলিশ সদস্যরা রাস্তায় থাকা যানবাহন থামিয়ে আনিসুলের গাড়ি বহরটিকে পার করে দিচ্ছেন। এতে বিভিন্ন সড়কে তৈরি হচ্ছে যানজটের।
সংক্ষিপ্ত পথসভাগুলোতে আনিসুল হক তাঁর টেবিল ঘড়ি মার্কার পক্ষে ভোট চাইছেন।
গত শুক্রবার বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গাড়িবহর নিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন না বলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্দেশনা দিয়ে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে রাতে চিঠি পাঠিয়েছিল। কমিশন বলেছিল, আচরণবিধি অনুযায়ী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে খালেদা জিয়া নেতা-কর্মীসহ গাড়িবহর নিয়ে প্রচার চালাতে পারবেন না। মানুষের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে, এমন পথসভা করতে পারবেন না।