মন্ত্রী হিসাবে নয়, দলীয় কর্মী হিসেবে আসন্ন সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চাইলেন খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এক বর্ধিত সভায় তিনি এ ভোট চান। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কামরুল বলেন, আমরা জানি মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা এ নির্বাচনে কোন প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইতে পারবেন না। কিন্তু আমি আজ মন্ত্রী হিসেবে নয় দলীয় কর্মী হিসেবে আমাদের দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে কথা বলতে পারবো। এতে আমরা মনে হয় কোন আচরণ বিধি লঙ্ঘন হবে না।
সর্বাত্মক শক্তি দিয়ে নির্বাচনে কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দলীয় প্রার্থীর বিজয়ে প্রয়োজনে আমাদের সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে।
বিএনপি নির্বাচনে পরাজিত হবে জেনেই খালেদা জিয়া মাঠে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশকে অশান্ত করছেন অভিযোগ করে কামরুল বলেন, নির্বাচনের আচরণ বিধি ৬ এর ১ (ক)(খ) ধারায় আছে, কোন প্রার্থীর পক্ষে মিছিল, জনসভা, কিংবা শোডাউন করা যাবে না। কিন্তু বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তা করছেন। তাই আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানাবো, এ কর্মকান্ড থেকে তাকে বিরত রাখা হোক। তা না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যাহত হবে। বিএনপি প্রার্থীরা নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারবে না যেনেই তারা নির্বাচন কমিশনকে অহেতুক বিরক্ত করছেন বলেও দাবী করেন সরকারের এই মন্ত্রী।
সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ত্রানমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীমায়া বলেন, আমাদের দলে কেউ আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে নি, কিন্তু খালেদা গাড়ি বহর নিয়ে মিছিল করে নির্বাচণের আচরণ বিধি লঙ্ঘন করছেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, মানুষের হাতে-পায়ে ধরে নির্বাচনে কিভাবে বিজয়ী হতে হয় সেটা আমাদের নেতা-কর্মীরা ভালো করেই জানে।
সিটি নির্বাচন নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যম ইচ্ছা করেই বিতর্ক সৃষ্টি করছে দাবি করে মায়া বলেন, যারা পত্রিকায় লিখে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে দয়া করে সত্য কথা লিখেন। তা না হলে দুনিয়ার পার পাইলেও পরকালে জবাবদিহি করতে হবে।
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, নগর আ. লীগ নেতা মুকুল চৌধুরী, হাজী মো. সেলিম, শাহে আলম মুরাদ, সহিদুল ইসলাম মিলন, জামাল উদ্দীন প্রমুখ।