প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় এশিয়ান-আফ্রিকান শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবার বিকেলে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় পৌঁছেছেন।
বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে হোটেল ‘বোরোবুদুর জাকার্তা’ থেকে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে বালাই সিদাং জাকার্তা সম্মেলন কেন্দ্রে নিয়ে নিয়ে আসা হয়।
সম্মেলন কেন্দ্রে পৌঁছানোর পর ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোকো উইদোদো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। এরপর বিভিন্ন দেশের নেতাদের ছবি তোলার পর্ব শেষে অন্যদের সঙ্গে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন শেখ হাসিনা।
সম্মেলনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর সম্মেলনের প্লেনারি সেশনে ভাষণ দেবেন তিনি।
৩৪টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানসহ ৭৭টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে শুরু হওয়া এ সম্মেলন চলবে ২২ থেকে ২৪ এপ্রিল।
বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে হোটেল ‘বোরোবুদুর জাকার্তা’ থেকে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে বালাই সিদাং জাকার্তা সম্মেলন কেন্দ্রে নিয়ে নিয়ে আসা হয়।
দুপুরের পরে সম্মেলনের ফাঁকে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সেং লং, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এবং মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি থেই সেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।
রাতে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতির দেয়া নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি।
ইন্দোনেশিয়ার পরিবেশ ও বনমন্ত্রী নূরবায়া বাকের বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নাজুমল কাউনাইন ও ঢাকায় ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভীরানতা আতমাদজাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিমানবন্দরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ‘স্ট্যাটিক গার্ড অব অনার’ দেওয়া হয়। তাকে অভ্যর্থনা জানানো হয় ফুল দিয়ে।
প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দর থেকে হোটেল ‘বোরোবুদুর জাকার্তা’য় যান। এই সফরে তিনি সেখানেই অবস্থান করবেন।
মঙ্গলবার সকালে তিন দিনের সরকারি সফরে জাকার্তার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। এসময় বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান শিল্পমন্ত্রী আমীর হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম।
এছাড়া এ সময়ে কেবিনেট সচিব এম মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, পুলিশের মহাপরিদর্শক, কূটনৈতিক কোরের প্রধান এবং উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলতি বছরে এ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য- ‘বিশ্ব শান্তি ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে সাউথ সাউথ সহযোগিতা জোরদার করা।’ এশিয়ান-আফ্রিকান সম্মেলনের ৬০তম বার্ষিকী উপলক্ষে এই শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বের দুই মহাদেশের দুই-তৃতীয়াংশ জনসংখ্যা ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়ার বিষয়টি তুলে ধরবেন। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সাফল্যের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরবেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ২৩ এপ্রিল শীর্ষ সম্মেলনে প্লেনারি সেশন-৪ এ সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর আগামী ২৩ এপ্রিল দেশে ফেরার কথা রয়েছে।