স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘গতকাল খালেদা জিয়ার উপর হামলার ঘটনাটির জন্য তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তাবাহিনীই দায়ী। সিএসএফ’র অতিরিক্ত বাড়াবাড়ির কারণেই জনতা উত্তেজিত হয়ে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা চালিয়েছে।’
মঙ্গলবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘খালেদা জিয়া পুলিশকে না জানিয়ে হুটহাট করে যেকোনো স্থানে প্রচারণায় যাচ্ছেন। এ কারণে পুলিশের পক্ষেও জানা সম্ভব হচ্ছে তিনি কোথায় যাচ্ছেন। এছাড়া গত তিনমাস ২০ দলীয় জোটের রাজনৈতিক সংহিসংতার কারণে জনতা তাদের উপর ক্ষেপে রয়েছে। এজন্য বিএনপি নেত্রী যেখানেই প্রচারণায় যাচ্ছেন সেখানেই বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। জনতা কালো পতাকা প্রদর্শন করছে।’
তিনি বলেন, ‘গতকাল তিনি কাওরান বাজারের যেখানে গিয়েছিলেন সেখানে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, শ্রমিক এবং জনগণ গত তিনমাসের রাজনৈতিক সংহিসতার শিকার হয়েছেন। তাদের মনে ক্ষোভ রয়েছে। আর এজন্যই খালেদা জিয়ার প্রচারণাকালে কালো পতাকা প্রদর্শন করে জনতা। এ সময় সিএসএফ’র কয়েকজন সদস্য স্থানীয় একজনকে মারধোর করে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে। এরপর জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে ইটপাটকেল ছুঁড়তে শুরু করে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে এমনও অভিযোগ এসেছে যে, খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের মাধ্যমে বিক্ষুব্ধ জনতাকে চাপা দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি নিজেও হাসপাতালে আহত কয়েকজনকে দেখতে গিয়েছি। অনেকের পায়ের আঙ্গুল থেতলে গেছে।’
হামলাকারীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের কর্মী রয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘থাকতেই পারে। একশজন জনতার মধ্যে ১০ থেকে ১২ জন রাজনীতি করতেই পারে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আরো একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। আমরা ঘটনা খতিয়ে দেখছি। কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এদিকে পহেলা বৈশাখে টিএসসিতে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ থেকে এখনো কাউকে সরাসরি শনাক্ত করা যায়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
এর আগে ছাত্র ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধি দল পহেলা বৈশাখের যৌন নিপীড়নের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং দায়িত্বে অবহেলাকারী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশ করে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি তাদের কথা শুনেছি। তাদেরকে জানিয়েছি আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। কোনো পুলিশ সদস্যের যদি দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া যায় তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’