বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে অজ্ঞাত ১০০ ব্যক্তিকে আসামির নাম উল্লেখ করে তেজগাঁও থানায় অভিযোগ দিয়েছে বিএনপি। তবে পুলিশ মামলা নেয়নি। থানা পুলিশ মামলা গ্রহণ না করলে আদালতে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল থানায় গিয়ে এ এজাহার দাখিল করেন। অন্যদের মধ্যে ছিলেন অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া ও অ্যাডভোকেট মাসুম আহমেদ তালুকদারসহ চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা সদস্যরা। এজাহারের বাদী খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা ফজলে এলাহী আকবর।
তারা জানান থানা পুলিশ মামলা নেয়নি এবং নেয়া হবে কিনা সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত জানায়নি।
মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে তেজগাঁও থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, “তারা অভিযোগ দাখিল করেছেন। কিন্তু মামলা নেয়া হবে কিনা তা এখনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। আমি থানার বাইরে আছি। ব্যস্ততা সেরে থানায় গিয়ে অভিযোগ খতিয়ে দেখব।”
সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় সরকারি দলের কর্মী-সমর্থকেরা খালেদা জিয়ার পথসভা ও গাড়িবহরে হামলা চালান বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এ সময় খালেদা জিয়া মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে সরকার-সমর্থকেরা খালেদা জিয়ার গাড়ি, পেছনে থাকা চেয়ারপারসনের অতিরিক্ত গাড়ি (স্পেয়ার কার) ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মীদের (সিএসএফ) তিনটি গাড়ি এলোপাতাড়ি ভাঙচুর করে। এ ছাড়া সেখানে রাখা বেশ কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
হামলায় খালেদার দুজন নিরাপত্তাকর্মী ফজলুল করিম ও ফারুক হোসেন, একান্ত সচিব আবদুস সাত্তার ও খালেদা জিয়ার একজন গাড়িচালক শাহজাদা শাহেদ এবং সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। খালেদা জিয়ার গাড়ির সামনের অংশে রক্তের দাগ দেখা গেছে। তবে খালেদা জিয়া অক্ষত আছেন।