যুদ্ধাপরাধীদের প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘আমি নিরপেক্ষ নই। আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আর রাজাকার যুদ্ধাপরাধীদের বিপক্ষে। মানবতাবিরোধীদের ক্ষমা করার অধিকার সরকারের নেই। রাষ্ট্রপতির এ ধরনের অপরাধীকে ক্ষমা করার এখতিয়ার থাকা ঠিক নয়।’
বিশ্ব কণ্ঠ দিবস ২০১৫ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ‘স্বরের সুরক্ষায় আপনার করণীয়’ শীর্ষক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। এ্যাসোসিয়েশন অব ফোনোসার্জনস অব বাংলাদেশ এ সেমিনার আয়োজন করে।
বিএনপি চেয়ারপারসন সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মাথার কাপড় ফেলে দিলেও বেগম খালেদা জিয়া এখনো সাম্প্রদায়িকতার ঘোমটা খোলেননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাথা অপরিষ্কার থাকলে রাজনীতিবিদরা তোতলামো শুরু করেন। এ সময়ে তারা স্পষ্ট কথা করে বলতে পারেন না। খালেদা জিয়া আর তারেকের নাম বাদ দিয়ে গোলাম আযম, রাজাকার ও জঙ্গিবাদ খারাপ বললে বক্তব্য স্পষ্ট হয় না। খালেদা-তারেকের কথা বাদ দিয়ে মানুষ পোড়ানোর কথা বললেও বক্তব্য সম্পূর্ণ হয় না। মানুষ পোড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কে বা কারা মানুষ পুড়িয়েছে তাও বলতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশ ও সমাজের শান্তির জন্য সময়ে সময়ে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার দুষ্টুক্ষত দূর করতে হবে। কারণ অস্ত্রোপচার ও কেমো ছাড়া ক্যান্সারের দুষ্টু কোষ দমন করা যায় না। জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা সমাজে ক্যান্সারের সৃষ্টি করছে।’
কণ্ঠের সুরক্ষা, স্বাস্থের সুরক্ষা, সামাজিক সুরক্ষা, শান্তির সুরক্ষা, বিনোদনের সুরক্ষা, বিশ্বের সুরক্ষা ও পরিবেশের সুরক্ষার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাওয়ার গুরুত্বারোপ করেন তথ্যমন্ত্রী।
বাংলাদেশকে সুন্দর ও স্বাস্থ্যবান জাতি গড়ে তুলতে কণ্ঠস্বরের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য আগামী বাজেটে স্বাস্থ্য সেবায় বরাদ্দ বাড়ানোর সুপারিশ করবেন বলে আশ্বাস দেন তথ্যমন্ত্রী।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলের এ সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান ও বিএমডিসির প্রেসিডেন্ট আবু সাফি আহমেদ আমিন। সভাপতিত্ব করেন এ্যাসোসিয়েশন অব ফোনোসার্জনস অব বাংলাদেশের (এপিএসবি) সভাপতি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান তরফদার।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. এস এম খোরশেদ আলম মজুমদার। বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা. শেখ হাসানুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন অধ্যাপক ডা. ফিরোজ আহমেদ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন— অধ্যাপক আব্দুল হাসনাত জোয়ারদার, অধ্যাপক মঞ্জুরুল আলম, অধ্যাপক মেজর (অব.) আশরাফুল ইসলাম, অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন ও সঙ্গীতশিল্পী সুবীর নন্দী।
সেমিনারের আগে সংগঠনের এক বর্ণাঢ্য র্যালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
London Bangla A Force for the community…
