ব্রেকিং নিউজ
Home / অপরাধ জগৎ / ঢাকা কারাগারে ‘ওপেনসিক্রেট’ বাণিজ্য

ঢাকা কারাগারে ‘ওপেনসিক্রেট’ বাণিজ্য

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের রমরমা ব্যবসা জমিয়ে বসেছে সেখানকার কারারক্ষীরা। বন্দিদের সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাৎ থেকে শুরু করে তাদের জন্য খাবার পাঠানো, বাইরের ক্যান্টিনে খাবার বিক্রি, ছোটখাট কেনাকাটা এবং বকশিশের নামে চলছে হরদম বাণিজ্য। দর্শনার্থীদের পদে পদে শিকার হতে হচ্ছে চরম হয়রানির। আবার টাকা দিলেই হয়ে যাচ্ছে ‘মুশকিল আসান’। জেলার থেকে শুরু করে কারারক্ষীরা এসব বাণিজ্যের কথা নাকচ করলেও এ ব্যবসা সেখানে ‘ওপেনসিক্রেট’ই বলা চলে।

পুরান ঢাকার চানখাঁর পুল ও বাবু বাজার রোড সংলগ্ন কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে যানজটে যাত্রীসহ আটকে আছে প্রায় ১৪/১৫টি রিকশা ও লেগুনা। কারারক্ষীদের বাঁশিতে মাঝে মাঝে যানবাহনের ভিড় হঠাৎ করেই মিলিয়ে যাচ্ছে। আবার একটু পরেই জটের কারণে যারপরনাই কাহিল অবস্থা। এ নিয়ে কথা হয় সেখানকার নিয়মিত পথচারী চাকরিজীবী রউফের সঙ্গে। বন্দিদের দেখতে আসা স্বজনদের ভিড়েই মূলত এই জট সৃষ্টি হয় বলে জানান তিনি।

দ্রব্যমূল্য চড়া:
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কারাগারের প্রধান ফটক থেকে প্রায় ২০/২৫ গজ দূর থেকে ছোট ছোট ঠেলাগাড়িতে করে খাবার আসতে দেখা যায়। সেদিকে যেতেই কারাকর্তৃপক্ষের একটি মুদি দোকান চোখে পড়ে। সেখানে লাইন ধরে বন্দিদের জন্য স্বজনরা খাবার কিনছেন। কাঁচামালসহ সবধরনের শুকনো খাবার এখানে পাওয়া যায়। জানা গেছে, এখান থেকে খাবার না কিনলে সে খাবার কারা অভ্যন্তরে ঢুকতে দেয় না কর্তৃপক্ষ। তাই বাধ্য হয়েই এখান থেকে খাবার কিনে পাঠাতে হয় স্বজনদের।
কারাগারে বন্দির সঙ্গে দেখা করতে আসা দর্শনার্থী সোনিয়া জানান, তিনি তার স্বামীর জন্য বাকরখানি, বিস্কুট, পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ কিনেছেন। তবে বাজারদরের চেয়ে প্রায় ৬ থেকে ১০ টাকা বেশি দামে কিনতে হয়েছে প্রতিটি দ্রব্য। দেখা গেছে, পুরুষ ও মহিলা ক্রেতাদের জন্য আলাদা কেনাকাটার নিয়ম থাকলেও সে নিয়ম মানা হচ্ছে না। উপরন্তু দোকানের সামনেই অসংখ্য দর্শনার্থী ভিড় করে আসামিদের সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
ক্রেতাদের অভিযোগ নিয়ে কথা হয় দোকানের দায়িত্বে থাকা দু’জন ব্যক্তির সঙ্গে। প্রথমজন এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। অন্যজন বললেন, খাবারের দাম জেল কর্তৃপক্ষের নির্ধারণ করা। কোনো খাবারেই অতিরিক্ত টাকা রাখা হচ্ছে না।

লাইনে অনিয়ম:
দোকানটির ডানপাশে একটু শোরগোল দেখে সেদিকে যেতেই একটা টিকেট কাউন্টার দেখা যায়। এখানে সবাই টিকেটকে স্লিপ বলে। দেখা গেল মহিলা-পুরুষসহ মোট চারটি লাইনে দাঁড়িয়ে স্বজনরা বন্দির নাম, কোন অপরাধে বন্দি তার বিবরণ এবং জেল অভ্যন্তরের সেলের নাম উল্লেখ করে টিকেট সংগ্রহ করছেন। ব্যাচের নাম অনুসারে সাইফুল, আল আমিন, হাসানসহ মোট চারজন মিলে টিকেট কাটছেন। তবে দীর্ঘ লাইনের মাঝেও দেখা গেল অনিয়ম ও বৈষম্য। ব্যাচের নাম অনুযায়ী জিয়া এবং আলম নামের দুই কারারক্ষী কিছুক্ষণ পরপর এসে স্পেশালের নামে টিকেট কেটে নিচ্ছেন।
অন্যরা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট কাটার পর লাইনের পেছনে থাকা সিল (টাইম সিল) কক্ষে যাচ্ছেন। সেখান থেকেই নির্ধারণ করে দেয়া হচ্ছে কোন স্বজন কখন আসামির সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে কয়েকটি ব্যাচে ভাগ করে স্বজনরা আসামিদের সঙ্গে দেখা করেন। এর প্রতিটি ব্যাচে সময় থাকে মাত্র আধা ঘণ্টা। তবে এই আধা ঘণ্টায় ঠিক কতজন স্বজন বন্দিদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তা নির্দিষ্ট করা নেই বলে জানান দায়িত্বরত কারারক্ষী দেলাওয়ার। ফলে ৩/৪ ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করতে হয় স্বজনদের। তবে যিনি পয়সা ঢালতে পারেন তার জন্য লাইন কিংবা অপেক্ষার কোনো বালাই নেই। অর্থাৎ টিকেটের সময় যারা দেন সেই কারারক্ষীদের হাতে যদি ৩০০/৪০০ টাকা ধরিয়ে দেয়া যায় তাহলে কাজ হয়ে যায়। উপরন্তু ‘স্পেশাল’ দেখা করার নামে তিনি সবার আগে বন্দির সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান।

টাকা ছাড়ো নয় ভূগোল দেখ:
বন্দিদের সঙ্গে দেখা করতে আসা কোনো স্বজন যদি নিতান্তই অসহায় হয় বা পকেটে টাকা না থাকে তবে তাকে নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। কারারক্ষীরা তাদেরকে নানাভাবে ‘ভূগোল’ চেনায়।
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থেকে কারাবন্দি ছেলের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন বাবা সামসুল হক। তার ভাষ্যমতে, এর আগের দিন তিনি ফ্রি টিকিট কেটেছেন ঠিকই, তবে যেখানেই গেছেন সেখানেই তাকে উল্টোপথ দেখিয়েছেন কারারক্ষীরা। কেউ সহজ কথা বলেনি। তাকে কারারক্ষীরা জানিয়েছে- আসামীকে নাকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই আজ (সোমবার) কারারক্ষীরা আসামী খুঁজতে ১০০ টাকা এবং আসামীর সঙ্গে স্পেশালভাবে কথা বলিয়ে দিতে নিয়েছে ৩০০ টাকা। স্লিপের সময় অনুযায়ী তার দেখা করতে আরো ২ ঘণ্টা লাগবে। তবে এক অফিসার ( কারারক্ষী) তাকে বলেছেন, তিনি যদি মোট ৫০০ টাকা দিতেন তাহলে তার ছেলের সঙ্গে এক্ষুনি আলাদাভাবে (স্পেশালভাবে) দেখা করাতে পারতেন।
প্রায় একই কথা বললেন আরেক বন্দীর মা আছিয়া বেগম। তিনি বললেন, ‘আমার ছেলেরে দেখতে একদিন ৩০০ টাকা চাইছিল।
এখানেই থেমে নেই আসামিদের নিয়ে কারারক্ষীদের বাণিজ্য। কেন্দ্রীয় কারাগারে আসামীদের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে সহজেই মিলবে না সব সমাধান। ফলে বিভিন্ন হয়রানির শিকার হতেই হবে। তবে যাদের ক্ষেত্রে এ অভিজ্ঞতা একেবারেই নতুন তাদের কাছে কেন্দ্রীয় কারাগারে আসামিদের সঙ্গে দেখা করার বিষয়টি হতে পারে আরো ভয়াবহ অভিজ্ঞতার।

ব্যাগ-মোবাইল রাখতেও অতিরিক্ত টাকা:
কিছু লোককে একটি ঘরের মধ্যে আসা-যাওয়া করতে দেখে এগিয়ে যেতেই এ প্রতিবেদক দেখতে পায় আসামির স্বজনেরা তাদের ব্যাগ ও মোবাইলসহ সঙ্গে থাকা যাবতীয় মালপত্র রেখে যাচ্ছেন। এ ঘরটি ‘ঢাকা সেন্ট্রাল জেলখানা ক্যান্টিন’ নামে পরিচিত। এখানে কথা হয় আইরিন আক্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এখানে টোকেনের মাধ্যমে ব্যাগ ও অনুষাঙ্গিক মালামাল রাখতে তাকে ২০ টাকা ফি দিতে হয়েছে। কিন্তু এই ফি মূলত পাঁচ টাকা।
এ ক্যান্টিনের মধ্যে যারা দায়িত্বরত তাদের প্রত্যেকেই সাধারণ পোশাক পরে আছেন। পরিচয় দিয়ে ফি’র পরিমাণ কত জানতে চাইলে তাদের একজন বলে ওঠেন, এখানে পাঁচ টাকার বেশি ফি নেয়া হচ্ছে না। নাম জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, কারাগারে তার নাম লেখা আছে এবং তারা সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেন না।’

দর্শনার্থীদের ভিড়ে ছিনতাইকারী:
গ্রিল ঘেরা যে রুমটাতে দর্শনার্থীরা বন্দীদের সঙ্গে কথা বলেন সেখানে প্রচণ্ড শোর-চিৎকার। সে চিৎকার ছাপিয়ে এক মহিলার চিৎকার শোনা যায়। মহিলাটি এক যুবককে ছিনতাইকারী বলে গালিগালাজ করছিলেন। আর যুবকটিও বারবার ধেয়ে আসছিলেন মহিলাটির দিকে। পরক্ষণেই কারারক্ষীরা ছুটে এলে মহিলা জানান, ছেলেটি তার গলায় থাকা সোনার চেইন টান দিচ্ছিল।
এখানকার একটি সূত্র থেকে জানা যায়, এখানে এরকম ছেঁচড়া চোর-ছিনতাইকারী অহরহ আছে।

বন্দিদের খাবার হাওয়া:
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারাগারে বন্দি এক বিডিআর কর্মী অভিযোগ করে বলেন, ‘বাইরে থেকে আমাদেরকে যে খাবার পাঠানো হয় তা ভেতরে ঠিকভাবে আসে না। আমার মা এর আগে ঈদে মাংস ভুনা পাঠাইছিল। কিন্তু আমারে তা পৌঁছে দেয়া হয়নি। এমন অনেক খাবার, অনেক কিছুই আমরা বন্দিরা হাতে পাই না।’
নজরুল নামের এক বন্দির স্বজন জানান, কারা নিয়ম অনুযায়ী একজন বন্দির সঙ্গে সর্বোচ্চ ২০ মিনিট দেখা করার কথা থাকলেও টাকা দিয়ে এখানে অনেকেই ৩০/৪০ মিনিট করে স্বজনদের সঙ্গে দেখা করছেন।

কারা অভ্যন্তরে মাদক যায় যেভাবে:
বন্দির সঙ্গে দেখা করতে আসা জব্বার নামের একজন জানান, পয়সা দিয়ে কারারক্ষীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে খাবারের সঙ্গে ভেতরে নেশাদ্রব্য পাঠানো যায়। তবে সবচেয়ে সুবিধা কোর্টে গেলে। সেখানে আসামির সঙ্গে দেখা করার নামে নেশাদ্রব্য সঙ্গে দিয়ে দেয়া যায় সহজে।

বিশ্রামাগার ও টয়লেট নোংরা:
কারাগারের প্রধান ফটকে আসামিদের বসার জন্য টিভিসহ একটি বিশ্রামাগার থাকলেও সেখানের চারটি ফ্যান অচল হয়ে আছে। বিশ্রামাগার সংলগ্ন টয়লেট দুটির অবস্থাও খুব নোংরা। এছাড়াও টয়লেটের ভেতরে প্রস্রাবের অসহ্য গন্ধে টিকে থাকা দায়। তাই বন্দির স্বজনদের অনেকেই বাইরে অপেক্ষা করেন।

জেলের ভেতরকার পরিবেশ:
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চার বছর ধরে জেল খাটা এক বিস্ফোরক মামলার আসামির সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘জেলখানার ভেতরের পরিবেশ মানুষ বসবাসের প্রায় অযোগ্য এবং টয়লেটের অবস্থা আরো বেশি জঘন্য।’
মুক্তি পাওয়া বাচ্চাসহ এক মহিলা আসামির সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘বাচ্চাগো নিয়া ভেতরে থাওন খুব কষ্টের। আবার বাইরে আসলেও অশান্তি। কারাগারে খালি টাহার খেলা।’
এ সময় সাধারণ পোশাক পরা এক ব্যক্তিকে মুক্তিপ্রাপ্ত ৩/৪ জন আসামির কাছ থেকে বিভিন্ন অংকের চাঁদা আদায় করতে দেখা যায়। পাশের কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করতেই জানা গেল, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর কারারক্ষীরা এভাবেই ‘বকশিশ’ তোলে।’

বন্দিদের খাবার ও পিসির টাকাও হাওয়া:
বিশ্রামাগারের পাশের একটি ডেস্কে বন্দির স্বজনদের টাকা দিতে দেখা যায়। স্বজনদের কাছ থেকে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, ‘এখান থেকে বন্দির নামে পিসিতে (প্রিজনারস ক্যান্টিন) টাকা পাঠাতে হয়। চার্জ হিসেবে কারারক্ষীরা প্রতি ৫০০ টাকায় ১০০ টাকা রেখে বন্দিদের বাকি টাকা পৌঁছে দেন। অথচ কারা আইন অনুযায়ী এখানে টাকা কেটে রাখার কোনো বিধানই নেই। শুধু তাই নয়, স্পেশালভাবে কারগারের প্রধান ফটকের ভেতরে দেখা করা, সিগারেট বা খাবার বন্দিদের হাতে পৌঁছে দেয়া অথবা পিসির টাকা বন্দির হাতে পৌঁছানোর নামে এবং আরো নানা অজুহাতে দায়িত্বরত বিভিন্ন কারারক্ষী যে যার মত পারছেন আসামির স্বজনদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।’
আসামিদের নিয়ে কেন্দ্রীয় কারারক্ষিদের এসব বাণিজ্য নিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. মাহবুবুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি দেশের বাইরে থাকার কথা হয় কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার ফরমান আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এখানে আসামিদের সঙ্গে দেখা করতে কোনো খরচ লাগে না। আসামিদের সঙ্গে দেখা করতে হলে স্বজনদেরকে এসে একটি দরখাস্ত করতে হয়। এখানে আমাদের লোকেরা বসে আছেন দরখাস্ত লেখার জন্য। এ দরখাস্তে উল্লেখ করতে হয় আসামি কোন গ্রুপে পড়েছে। সে অনুযায়ী আসামির স্বজনকে তারা (কারা কর্তৃপক্ষরা) দেখা করতে একা ডাকবে। আসামিদের সঙ্গে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দেখা করার সুযোগ রয়েছে। স্বজনরা চাইলে আসামির সঙ্গে স্পেশালভাবে জেল গেটে দেখা করতে পারেন। এটা জেল সুপারিনটেনডেন্টের ওপর নির্ভর করে। তবে এ ক্ষেত্রেও কোনো টাকা দিতে হয় না।’
মোবাইল, মানিব্যাগসহ সঙ্গে থাকা জিনিস-পত্র রাখতে কত টাকা প্রয়োজন হয় জানতে চাইলে ফরমান আলী জানান, এখানে পাঁচ টাকা রাখা হয়।
তাহলে ২০ টাকা রাখা হচ্ছে কেন জানতে চাইলে তিনি উত্তরে বলেন, ‘এই অভিযোগগুলো সঙ্গে সঙ্গে করেন না কেন। ঘটনাস্থলেই বিচারটা হতো। সবাইতো ভালো মানুষ নয়। আমার অনেক সাংবাদিক বন্ধু রয়েছে তারা আমাকে বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে সাহায্য করে। সবটাই যে একেবারে নজরে পড়বে এমনতো কথা নয়।’
স্লিপের টাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দরখাস্ত লেখার পর ধরেন আপনি পড়ে গেলেন চতুর্থ গ্রুপে। এখন আপনি আরেক জনকে গিয়ে বলছেন, ‘ভাই আমাকে একটু আগে করিয়ে দেন। কেউ অপেক্ষা করতে চায় না। আর এই সুযোগগুলো কিছু মানুষ কাজে লাগাচ্ছে।’

source: বাংলামেইল