সন্ত্রাসী ও নাশকতাকারীদের জীবন সঙ্গে নিয়ে যুদ্ধে আসার আহ্বান জানিয়ে র্যাবের মহাপরিচালিক ডিজি বেনজীর আহম্মেদ বলেছেন, “রংপুরে ৩৫ লাখ মানুষ। এরমধ্যে ৭০ অথবা ৭০০ জন মানুষ দেশ, জনগণ ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অন্যায় যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তোমাদেরকে বলছি, যুদ্ধ মানে ক্যাজুয়ালিটি। আসো জীবন হাতে নিয়ে আসো। আমাদের যা করা দরকার তাই করবো।”
শুক্রবার জুমার নামাজের আগে রংপুরের মিঠাপুকুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাছে সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে র্যাবের ডিজি এসব কথা বলেন।
বিএনপি জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে র্যাবের ডিজি বলেন, “গত দুই সপ্তাহে মিঠাপুকুরের পাঁচজনসহ সারাদেশে ২৪ জনকে খুন করা হয়েছে। ২০১৩ সালের মতো একটি গোষ্ঠী তাদের ব্যক্তি ও গোষ্ঠীস্বার্থ উদ্ধার করার জন্য দেশ, সমাজ, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তারা দেশের গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করেছে। তারা উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করছে। দেয়ার আর টেরোরিস্ট।”
তিনি বলেন, “জাতিসংঘ, পৃথিবীর সব দেশের সন্ত্রাসের সংজ্ঞা অনুযায়ী যারা ব্যক্তি ও গোষ্ঠীস্বার্থ উদ্ধারের জন্য যুদ্ধ ঘোষণা করেছে তারা সন্ত্রাসী, খুনি। এমন খুনিদের সন্ত্রাসীদের আমাদের দেশে সমাজে, রাষ্ট্রে, দরকার নেই। তাদেরকে আমরা দেখতে চাই না।”
র্যাব প্রধান বলেন, “নির্ধারিত সময়ের পরেই নির্বাচন হবে। জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। এরই বাইরে আমরা কোনো কিছুই চাই না।”
তিনি বলেন, “রংপুরের ৩৫ লাখ মানুষ বাস করে। কিন্তু ৭০ অথবা ৭০০ মানুষ জনগণের বিরুদ্ধে অন্যায় যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এরা ১৯৭১ সালে আয় ছিল ১৪৫ ডলার, ১৯৯৬ সালে ছিল ৮০০ ডলার, এখন ১২০০ ডলার। জাতীয় আয়কে ধ্বংস করার জন্যই এই হরতাল অবরোধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। আর দুই তিন বছর এই সরকার থাকলে দেশ থেকে দারিদ্র নির্মূল হয়ে যেতো।”
তিনি বলেন, “৭০০ মানুষ অন্যায় যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। আর কষ্টে আছি আমরা। এই অন্যায় যুদ্ধে যুদ্ধ করতো আসো। জীবনটাকে সঙ্গে করে নিয়ে আসো। আমরা কাউকে ছাড় দেব না। ২০০১৩ সালের মতোই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই সন্ত্রাস ও নাশকতা দূর করবো।”