৭ জানুয়ারি ২০১৫: দেশে চলমান সংঘাতময় রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সব রাজনৈতিক দলকে একসঙ্গে আলোচনায় বসার আহবান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এরশাদ এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘দেশ আবার চরম রাজনৈতিক সংঘাত, অস্থিরতা, হানাহানির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। নতুন বছরের শুরু থেকেই এই সংঘাতের রাজনীতি শুরু হয়েছে। ঔপনিবেশিক আমলের সেই হরতাল-অবরোধের মতো নেতিবাচক রাজনীতি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার অসহিষ্ণু হয়ে বিরোধী পক্ষের ওপর মারমুখী আচরণ শুরু করেছে। এর ফলে জনমনে চরম আতঙ্ক-অনিশ্চয়তা নেমে আসছে। এই অবস্থায় একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ চলতে পারে না। সংঘাত ও গণতন্ত্র একসাথে চলে না।’
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন,‘ সংঘাতের রাজনীতির কারণে গণতন্ত্র এখন বিপণ্ন হয়ে পড়ছে। এ কারণে অনেক প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে গেছে। এ ধরনের ঘটনায় আমি দুঃখিত ও মর্মাহত।’
এরশাদ বলেন, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনকারীরা সরকার বিরোধী আন্দোলনের নামে জনগণকে জিম্মি করার মতো কর্মসূচি গ্রহণ করছে। অপরদিকে সরকারও প্রতিপক্ষকে দমনের নামে আগ্রাসী ভূমিকা পালন করছে। আমরা এর কোনোটাকেই মেনে নিতে পারি না। দেশবাসী শান্তি চায়, নিরাপত্তা চায়, তারা দেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ দেখতে চায়।’
বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত আরো বলেন, ‘আমরা মনে করি জনগণের স্বার্থের কথা চিন্তা করে উভয় পক্ষকেই নমনীয় এবং শান্ত থাকতে হবে। সকল দলের সাথে আলাপ-আলোচনা মাধ্যমে সঙ্কট নিরসনে শান্তিপূর্ণপন্থা অবলম্বন করতে হবে। প্রতিবাদের ভাষা পরিবর্তন করতে হবে।
পয়লা জানুয়ারি ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশে আশঙ্কা করেছিলাম, ৫ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে দেশে আবার সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। আমার সেই আশঙ্কাই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। সেই মহাসমাবেশেই আমি সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলাম আসুন আমরা একটি সর্বদলীয় কনভেনশনে মিলিত হয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণের জন্য সর্বসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ করি।
আমি আবারও সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানাই আসুন এক টেবিলে আলোচনায় বসি। সঙ্কট নিরসনের উপায় উদ্ভাবন করি।’