শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের স্মরণ সমাবেশের মঞ্চে ঠাঁই হলো না বঙ্গবন্ধুর আমৃত্যু রাজনৈতিক সচিব ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তোফায়েল আহমেদের। মঞ্চে নিজের আসন দেখতে না পেয়ে মাথা নিচু করে নীরবে সমাবেশস্থল ত্যাগ করেন স্বাধীনতা যুদ্ধে মুজির বাহিনীর এই সৈনিক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের স্মরণসভা চলাকালে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহরের সঙ্গে সমাবেশস্থলে আসেন তোফায়েল আহমেদ। এ সময় মঞ্চে ছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওবায়দুল কাদের, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ছাত্রলীগের সভাপতি এএইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। কিন্তু কোনো নেতাই তোফায়েল আহমেদকে গ্রহণ করার জন্য এগিয়ে আসেননি। পরে নিজের আসন না পেয়ে নীরবে চলে যান তিনি।
এ সময় মঞ্চের সামনে বসা ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ড. আব্দুর রাজ্জাক, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এনামুল হক শামীম।
তোফায়েল আহমেদ ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ( ডাকসু) ভিপি ছিলেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে বঙ্গবন্ধু ১৯৬৯ সালে জামিনে মুক্তি পেলে তোফায়েল আহমেদ শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেন।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘বাণিজ্যমন্ত্রী আমাদের আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন না। তাই ওনার জন্য আসন বরাদ্দ ছিল না।’
তাহলে চলে গেলেন কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘ওনার জরুরি ফোন এসেছিল, এ জন্য চলে গেছেন।’
এদিকে যে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের সমাবেশ থেকে যিনি জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দিয়েছিলেন সেই উদ্যান ও ছাত্রলীগের সমাবেশে তোফায়েল আহমেদের স্থান না হওয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে ছাত্রলীগের নেতাদের মধ্যে।