লন্ডনবাংলা রিপোর্ট: পুলিশের পরিচয় দিয়ে ফোন করে প্রতারনার মাধ্যমে টাওয়ার হ্যামলেটসের এক বাঙালী পরিবারের ব্যাংক কার্ড, স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয়ার এক অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলে জানা গেছে। অভিযোগে জানা যায় যে, গত ৬ই জুন শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৯টায় লন্ডনের স্টেপনী এলাকার একটি বাঙালী পরিবারের কাছে পুলিশ পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি ফোন করে জানতে চায় যে, তিনি আজদা সুপার স্টোরে ৩০০ পাউন্ডের শপিং করেছেন কিনা? তাদের গাড়ি আছে কিনা? পুলিশ পরিচয়ধারী প্রতারক আরো বলে যে তাদের পরিবারের ব্যাংক কার্ড জালিয়াতী করা হয়েছে। ব্যাংক একাউন্ট থেকে সব অর্থ সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্চেছ। তাই পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। বাঙালী পরিবারকে পুলিশ অফিসারের নামের পরিচয় দেয়া হয় জেমি রোমান ও একটি ব্যাচ নং দেয়া হয়। বলা হয় যে, ৯৯৯ না“ারে ডায়াল করে নাম ও ব্যাচ নং দিলে পুলিশ কথা বলার সুযোগ করে দিবে। তখন বাঙালী পরিবারটি ৯৯৯ নং এ ডায়াল করলে প্রথমে কেউ কথা বলেনি। একটু পরে বলা হয় যে, ইমার্জেন্সী সার্ভিস, পুলিশ, এ“ুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস। তখন পুলিশ চাওয়া হলে পুলিশের সাথে সংযোগ দেয়ার পর পুলিশ পরিচয়ধারী প্রতারক বলে যে, আপনাদের পরিবার হুমকির মুখে। আপনাদের স্বামী-স্ত্রী উভয়ের ব্যাংক কার্ডের পিন নাম্বার দেন। আপনাদের বাসায় সোনার পরিমান কত? নগদ অর্থ কত আছে? ঘরে যা আছে তা পৃথক তিনটি প্যাকেটে রেখে দিন। পুলিশ বিশ্বাস করে বাঙালী, পরিবারটি কার্ডের পিন নাম্বার দেন এবং তিনটি প্যাকেটে ব্যাংক কার্ড, সোনার অলংকার ও নগদ অর্থ রেখে দেন। প্রতারক চক্র আরো বলে যে- আপনাদের এসব সম্পদ হ্যামারস্মিথ পুলিশ স্টেশনে অমুক নং লক আপে রাখা হবে। সেখান থেকে আপনারা সংগ্রহ করতে পারবেন। আমরা কুরিয়ার সার্ভিস আপনাদের বাসায় পাঠাচ্চিছ। কুরিয়ারের সাথে বাংলাভাষী লোকও থাকবে। সব কিছু তাদের হস্তান্তর করবেন। এসব কথাবার্তা বলার সময় পরিবারের বড় ছেলে বাসায় আসে। সে তার মাকে ফোন রেখে দেয়ার জন্য বললে- পুলিশ পরিচয়ধারী প্রতারক ফোনে রাখতে নিষেধ করে। ছেলের কথামতো ফোন রেখে দেন। পরে আবার তারা ৯৯৯ ফোন নাম্বারে ডায়াল করে পুলিশের সাথে কথা বললে পুলিশ এসব ঘটনা জেনে বলে যে- এটা প্রতারক চক্রের কাজ। পুলিশ বিনা অভিযোগ কোন বিষয় তদন্ত করেন। এ ঘটনাটি পুলিশ অবহিত করা হলে রাত দেড়টায় মেট পুলিশ পরিবারটিকে পরিদর্শন করে সান্তনা দেয়। তারা এ বিষয়টি ফ্রড ইউনিটে অভিযোগ করার পরামর্শ দেয়। পুলিশ ঘটনায় তদন্ত করছে। ভিকটিম পরিবারের কর্তা ব্যক্তি এ প্রতিনিধিকে জানান যে, আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে তারা প্রতারনার ফাঁদ থেকে বেঁচে গেছেন। আর যাতে কোন পরিবার এ প্রতারনার সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।