বিশেষ প্রতিনিধি: বহুল আলোচিত লেবার দলীয় কাউন্সিলর ও টাওয়ার হ্যামলেটসের ৪ বারের লিডার হেলাল আব্বাস বিগত ২২মের নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে হেরে গেলেন। ২০১০ সালে লুতফুর রহমানের বিরুদ্ধে বিরাট আকারের ডসিয়ার তৈরী করে লেবার পার্টির জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে অভিযোগ দিয়ে লুতফুর রহমানকে মেয়ার প্রার্থী পদ থেকে বাদ দেয়ার তিনিই ব্যবস্থা করেছিলেন। সেই নির্বাচনে তিনি নিজেই লেবার দলীয় মেয়ার প্রার্থী হন। কিন্তু প্রতিবাদী জনগনের ভোটে তিনি হেরে যান। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লুতফুর রহমান মেয়ার পদে বিজয়ী হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেন।
এবারকার মেয়ার নির্বাচনে হেলাল আব্বাস লেবার পার্টি থেকে দলীয় মনোনয়ন চান। কিন্তু লেবার সদস্যদের সমর্থন না পাওয়ায় তিনি দলের টিকেট পাননি। শেষ পর্যন্ত স্পিটালফিল্ড ও বাংলা টাউন ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলার পদে লেবার দলের টিকেট নিয়ে কাউন্সিলার পদে প্রতিদ্বন্দিতা করেন। স্পিটালফিল্ড ও বাংলাটাউন ওয়ার্ড ছিল হেলাল আব্বাস এর শক্ত ঘাটি। এ ওয়ার্ড থেকেই তিনি কয়েকবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। কিন্তু গত ২২ মের নির্বাচনে তিনি টাওয়ার হ্যামলেটস ফার্স্টের প্রার্থী কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী ও সুলুক আহমদের কাছে হেরে গেছেন। নির্বাচনে গোলাম রব্বানী পেয়েছেন ১৯৫৫ ভোট, সুলুক আহমদ পেয়েছেন ১৭৪৩ ভোট আর হেলাল উদ্দিন আব্বাস পেয়েছেন ১২১৫ ভোট। তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্ধন্দি সুলুক আহমদ থেকে ৫২৮ ভোট কম পান।
২০১০ সালের নির্বাচনে ডজি ডসিয়ার বানিয়ে তিনি খ্যাত হয়েছিলেন। টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের ৪ বার লিডার এবং বর্তমান কাউন্সিলার হয়েও তার এ পরাজয় বিভিন্ন মহলে আলোচিত হচ্ছে ।