চতুর্থ দফা নির্বাচনের প্রথম দফায় গতকাল ৯৭টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩১টি উপজেলার ফলাফলে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জয়ী হয়েছেন ১৭টিতে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জয়ী হয়েছেন ১১টি উপজেলায়। জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী জয়ী হয়েছেন ৪টিতে। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন ১টিতে। বেসরকারিভাবে নির্বাচিতরা হলেন- হবিগঞ্জের মাধবপুরে বিএনপি সমর্থিত সৈয়দ মোহাম্মদ শাহজাহান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন অসীম। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে আওয়ামী লীগের সারোয়ার আলম ৫১,৪৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির কাইয়ুম খান হেলাল পেয়েছেন ৪২,৩৯১ ভোট। নিকলিতে আওয়ামী লীগের কারার সাইফুল ইসলাম ১৯,৯১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির এডভোকেট বদরুল মোমেন মিঠু পেয়েছেন ১৪,৭৪৭ ভোট। করিমগঞ্জে বিএনপির সাইফুল ইসলাম সুমন ৩৪,৬৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নাছিরুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৩০,৫৬০ ভোট। পাবনার আটঘরিয়ায় জামায়াত সমর্থিত মাওলানা জহুরুল ইসলাম জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৪০,৯৯৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের শহিদুল ইসলাম রতন পেয়েছেন ৩৬,৫৩৮ ভোট। মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে বিএনপির তোজাম্মেল হক তোজা ৪৫,১৪৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম রাজা পেয়েছেন ২৯,৮৭৪ ভোট। শিবালয় উপজেলায় বিএনপির আলী আকবর ৪১,৫৪৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আবদুর রহিম খান পেয়েছেন ৩৩,৫৬৫ ভোট। রংপুরের তারাগঞ্জে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আনিসুর রহমান লিটন। তিনি পেয়েছেন ২৪,৪৯৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সামছুল কাদের সরকার পেয়েছেন ১৫,৭৫৯ ভোট। খুলনার কয়রা উপজেলায় জামায়াতের মাওলানা তমিজউদ্দিন ৫৩,৭৮২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের জিএম মহসিন রেজা পেয়েছেন ৩৪,১২৭ ভোট। দিঘলিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের খান নজরুল ইসলাম ৩০,৮১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সাইফুর রহমান মিন্টু পেয়েছেন ২৮,৮৬১ ভোট।
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে জামায়াতের মাওলানা তাজুল ইসলাম ২৬,৪৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সিরাজুল ইসলাম পেয়েছেন ২১,২৬৪ ভোট। কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় বিএনপির প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার ১০৬২৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের ডা. এএফএম আমিনুল হক রতন পেয়েছেন ৬৩,৩০০ ভোট। নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় আওয়ামী লীগের সৈয়দ জাবেদ হোসেন ৩২,৭৪১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবু বক্কর পেয়েছেন ৩১,৬৮৬ ভোট। যশোরের অভয়নগরে বিএনপি সমর্থিত নূরুল হক মোল্লা ৬৯,২৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রবিন অধিকারী পেয়েছেন ৪১,৮০৯ ভোট। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় বিএনপির এডভোকেট অহিদুল ইসলাম আলম ৩৮,২৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আবু বকর সিদ্দিক ২৫,৪২৬ ভোট পেয়েছেন। চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএনপির নুরুল আমিন ৫৬,১৭৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আলহাজ গিয়াস উদ্দিন পেয়েছেন ৪২,৯৫৩ ভোট। হবিগঞ্জের বাহুবলে আওয়ামী লীগের আবদুল হাই ২৮,৭১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আকাদ্দস মিয়া বাবুল পেয়েছেন ১৭,৮৬২ ভোট। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের হাজী আবুল কালাম ২৮,৫৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ফারুক আহমেদ পেয়েছেন ২২,০৯৬ ভোট। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় বিএনপির মো. নজির হোসেন ৩২,১৩৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের এজাহার আলী পেয়েছেন ১৮,০০৭ ভোট। এছাড়া সিলেটের ৬টি উপজেলার মধ্যে বিশ্বনাথ, গোয়াইনঘাট ও জকিগঞ্জে এগিয়ে আছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা। অন্যদিকে কোম্পানীগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জে এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। আর জৈন্তাপুরে এগিয়ে আছেন জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী।